স্বাধীনতার কিছুদিন আগে বেনাপোল ছুঁয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি ট্রেন সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ ছিল চোরাচালান। অর্ধশত বছর পর সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। নতুন করে আবার সেই চোরাচালান ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। ভারত থেকে আসা বেনাপোলে পাথরবোঝাই ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে যশোর বিজিবি উদ্ধার করেছে আড়াইশ’ বোতল ফেনসিডিল। যশোর ৪৯ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. সেলিম রেজা, পিএসসি বুধবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমার জানামতে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেনে ফেনসিডিল পাচারের ঘটনা স্মরণকালে এই প্রথম।

বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন, ‘ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রেনগুলো কাস্টমস ইমিগ্রেশন চেকিং হবার পর সীলগালা করে সীমান্ত অতিক্রম করে থাকে। এর মধ্যে আবার পাথর বোঝাই ট্রেন তার মধ্যে ফেনসিডিল ঢুকলো কীভাবে। তাহলে কী ভারত থেকে ঢোকা পণ্যবাহী ট্রেনে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য চোরাচালান পণ্য কিংবা অন্য কিছু ঢুকছে না-এর গ্যারান্টি কোথায়’? এ ধরণের প্রশ্নের সাথে বিজিবিও দ্বিমত পোষণ করেননি। তাদের কথা, এত চেকিংএর পরও বৈধ পণ্যের সাথে অবৈধ পণ্য ঢোকার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না।
বিজিবি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, যশোরের বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী পাথরবহনকারী ভারতীয় ট্রেন তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর টহল দল।

যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক জানান, দীর্ঘদিন যাবত জানা যায় যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ভারত হতে বাংলাদেশগামী পাথরবহণকারী ভারতীয় ট্রেনে ফেনসিডিল নিয়ে আসে। উক্ত ফেনসিডিল আটকের নিমিত্তে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৯ ডিসেম্বর রাতে বেনাপোল ক্যাম্পে কর্মরত নায়েক মো. নুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বেনাপোল রেলওয়ে ষ্টেশনে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী পাথরবহনকারী ভারতীয় ট্রেনের একটি বগি তল্লাশি করে বিপুল পরিমান ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি আরো উল্লেখ করে উক্ত ট্রেনের অন্যান্য বগিতেও ফেন্সিডিল রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এর প্র্রেক্ষিতে অন্যান্য বগি থেকে ফেনসিডিল উদ্ধারের জন্য কাস্টম্স, রেলওয়ে, পুলিশ এবং বিজিবিসহ তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। বুধবার জানানো হয় ভারতীয় ওই ট্রেনের সব বগি তল্লাশি করে পাথর দিয়ে ঢাকা কয়েকটি বস্তাভর্তি ২শ’৫৩ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।