পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন ও অসত্য তথ্য পরিবেশ করছে বলে অভিযোগ করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বিএসএমএমইউ শাখার নেতৃবৃন্দ। বেগম জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়ার জন্যই বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এমনটি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ড্যাবের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, ইদানিং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা অসত্য, বিভ্রান্তিম‚লক ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা মনে করি খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়ার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছেন।
ডা: শেখ ফরহাদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল প্রতিবেদন গত ৫ ডিসেম্বর আদালতে দাখিলের দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু আবারো ১২ ডিসেম্বর পুনরায় প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন একজন রোগীর মেডিকেল রিপোর্ট পেশ করতে এতো সময় লাগার কী কারণ? আমাদের জানা মতে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকগণ তার মেডিকেল রিপোর্ট দুই দফা প্রস্তুত করে বিএসএমএমইউ’র ভিসির কাছে জমা দিয়েছেন। তারপরও অধিকতর পরীক্ষার নামে কালক্ষেপণের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটা খালেদা জিয়াকে মৃত্যুঝুঁকির দিকে ধাবিত করার অপকৌশল।
বিএসএমএমইউ’র এই চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। বাস্তবিক অর্থে তিনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। এই সময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ী রূপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে ও খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভÐুল করতে সত্য গোপন করছেন। জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তাকে জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে, তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যথায় চিকিৎসক সমাজ নীরবে বসে থাকবে না। দেশের সকল জনগণকে সাথে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন গড়ে তুলবে।
ডা. ফরহাদ বলেন, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজ পায়ে হেটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। নিজে হেটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান। এমনকি জেলখানা থেকে আগেরবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কিভাবে আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ ২৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা সত্যের অপলাপ।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের নেতা প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমান, প্রফেসর ডাঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, যুগ্ম-মহাসচিব প্রফেসর ডাঃ কাজী মাযাহারুল ইসলাম দোলন, ডাঃ শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা: মোঃ শহিদুল ইসলাম বাবুল, ডাঃ এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডাঃ শহিদুল ইসলাম, ডা: হাসনুল আলম শামীম, ডাঃ মোঃ রিদওয়ানুল ইসলাম, ডাঃ শহিদুল হক রাহাত, ডাঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।