পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নানা অজুহাতে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আর তাই সরকারী কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত বিদেশ সফর নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন তথ্য জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, সরকারী কর্মকর্তারা প্রকল্পের আওতায় বারবার বিদেশ সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। অনেক প্রকল্পে বিদেশ সফর প্রয়োজন না হলেও যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে একই কাজে একাধিকবার বিদেশ যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী এমন বারবার বিদেশ সফরের বিষয়ে সর্তক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি অহেতুক বিদেশ সফর চান না।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন প্রধানমন্ত্রী এ বিরক্ত প্রকাশ করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
এম এ মান্নান বলেন, একনেক সভায় ‘পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী অনুমোদন কালে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই বিরাক্ত প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, ২০০৭ সালে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। একে একে বয়ে গেছে ১২টি বছর। এত বছর পর একই ভবন নির্মাণে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ফলে মূল প্রকল্প থেকে অতিরিক্ত ব্যয় বাড়ছে ৫০ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা ও তা শক্তিশালী করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানে নিজস্ব ভবন মিশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এক যুগ পর প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত ব্যয় ও সময় বাড়ানো হয় একনেক সভায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজে সাধারণ তিন বার বিদেশ সফর করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আলাদা আলাদা টিম করে বিদেশ সফরে যান তারা। প্রথম টিম প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিদেশ সফর করেন। দ্বিতীয় টিম চুক্তি সই ও তৃতীয় টিম বাস্তবায়ন কাজ তথা টাকা পয়সা পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশ সফর করেন। বিষয়টি নজরে এনে প্রধানমন্ত্রী সভায় জানান, একই কাজে তিনবার পৃথক পৃথক টিম বিদেশ সফর না করে সমন্বিত একটি টিম যেন বিদেশ সফর করে। একনেক সভায় এমন নির্দেশনা দিয়ে বিদেশ সফরের বিষয়ে সকর্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন উর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, এটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি আমার কার্যালয়ের (প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়)। এটি বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা নিতে বিদেশ সফরের আর্জি করা হয়েছিল। পরে আমি (প্রধানমন্ত্রী) বিদেশ সফরের কম্পোনেন্টটি বাতিল করি। পরে খোঁঝ নিয়ে দেখি প্রকল্প আর পাশ হচ্ছে না। কারণ জেনে অবাক হলাম। বিদেশ সফর নেই বলে প্রকল্প অনুমোদন প্রত্রিয়ায় গতি নেই। কাজ আটকে গেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এমন অনেক ক্ষেত্রে অহেতুক বিদেশ সফর করতে চায় কর্মকর্তারা। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।