পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি পুকুর বরাদ্দে ইজারা নিয়ে এক মামলার আদেশের বিষয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। সরকারি আইনজীবী সঠিক কিনা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য ১৭ ডিসেম্বর তাদের আদালতে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। আদালত বলেন, ওসি রা নিজেদের কি মনে করেন? তারা কি নিজেদের জমিদার মনে করেন ? ওই বেঞ্চের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম এসব তথ্য জানান। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গতকাল আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তপু গোপাল ঘোষ। সরকারপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম ও প্রহলাদ দেবনাথ। সাইফুল আলম জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের চুংগার পুকুর বরাদ্দে অনিয়ম নিয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আইনজীবীরা জানান, সরকারপক্ষের আইনজীবীকে তথ্য না দিয়ে তার পরিচয় যাচাই এবং রিট আবেদনকারীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে টাঙ্গাইলের সখিপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আবেদনকারী আইনজীবী তপু গোপাল ঘোষ জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুরের গজারিয়ার একটি সরকারি পুকুর ইজারায় সর্বোচ্চ দরদাতা অপু আহমেদ না দিয়ে তার চেয়ে কম দরদাতাকে দেয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অপু আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে সরকারপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে খোঁজ-খবর নিতে বলেন।
সাইফুর আলম বলেন, ইউএনও এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ওসি সাহেবকে বলেন আইন কর্মকর্তার আইডেন্টিটি ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য। মামলার যে বাদী অপু আহমেদ তাকে ফোন করে তারা ধমক দিয়েছেন, সে কোনো ঢাকায় অবস্থান করছেন। ব্যাপারটা হাইকোর্টের নজরে আনার পর আদালত এ আদেশ দেন। আদেশে ইউএনও-ওসিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরের নির্দেশ দেন। কেন তারা আবেদনকারীকে ধমক দিয়েছেন এবং আইন কর্মকর্তাকে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। একইসঙ্গে ওই ইজারা কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়েছেন। সাইফুল আলম আরও বলেন, আদালত বলেছেন-ওসিরা নিজেদেরকে জমিদার মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।