পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদে হামলাকারী কর সেবক থেকে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমানে রুপান্তরিত হওয়া মোহাম্মদ আমির ৯০টি মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। মসজিদ ভাঙ্গার সুতীব্র অনুশোচনা থেকেই এ কাজ করেছেন বলে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
ডিসেম্বরের ৬ তারিখে বাবরি মসজিদের গম্বুজে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উঠেছিলেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দেয়া আরেক হামলাকারি যোগেন্দ্র পালও পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হিসেবে তার নাম হয় মোহাম্মদ উমর। সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আমির জানান, শিব সেনার দলে যোগ দেয়ার পর তিনি উগ্রবাদী হয়ে উঠেন। তখন তার নাম ছিল বলবীর সিং। দিল্লির কাছে হরিয়ানায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রশিক্ষণ শিবিরে ও পানিপথে কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন।
মোহাম্মদ আমির বলেন, ‘বাবরি মসজিদে হামলার দিন কার্যত কোন সেখানে নিরাপত্তা ছিল না যা আমাদের সেখানে আক্রমণে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। মসজিদ ভেঙ্গে ফেরার পথে সবাই আমাদের নায়কের চোখে দেখছিল, কিন্তু আমার পরিবারের প্রতিক্রিয়া ছিল পুরোপুরি ভিন্ন যা আমাকে মর্মাহত করে। আমার পরিবারের লোকজনের হতাশায় মসজিদ ভাঙ্গার উল্লাস নিমিষেই দ‚র হয়ে যায়। আমি বুঝতে পারলাম অনেক খারাপ কিছু করে ফেলেছি। এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম এর মাশুল আমায় দিতে হবে।’
তিনি জানান, এরপর তিনি আলেম মাওলানা কালেম সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। সে সময় মোহাম্মদ আমির পণ করেন ১০০টি মসজিদ নতুন করে নির্মাণ ও সংস্কার করবেন। তারই প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ৯০টি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।