পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অব্যাহত বড় দরপতনের কবলে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি সূচকের বড় পতন হয়েছে। লাগাতার বড় পতনের ফলে প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বের অবস্থানে ফিরে গেছে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক। সূচকের বড় পতনের সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরাও। ফলে ডিএসইর লেনদেন আবারও ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এর মাধ্যমে গতকাল প্রায় দুই মাসের মধ্যে বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে পুঁজিবাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার আভাস দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর পরেই দেখা দেয় পতন প্রবণতা। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে আধাঘণ্টার মধ্যেই ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ৩০ পয়েন্ট পড়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ডিএসইর বাজার আপডেট। ১০টা ৫৬ মিনিট থেকে বেলা ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ডিএসই থেকে কোনো ধরনের বাজার আপডেট দেয়া হয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে যখন ডিএসই বাজার আপডেট দেয় ততক্ষণে প্রধান সূচক ৬০ পয়েন্ট কমে যায়।
পতনের এ প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৩টির। আর ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুই দিনের পতনে প্রায় ১৫০ পয়েন্ট হারাল ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক। গত রোববার এ সূচকের পতন হয় ৭৫ পয়েন্ট।
টানা এমন বড় পতনের কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ বছর ৩ মাস ৯ দিন বা ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৫২৬ পয়েন্টে ছিল। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের বড় পতনের সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরাও। প্রায় দেড় মাস পর ডিএসইর লেনদেন আবারও ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৪৯ কোটি ১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ২৭ অক্টোবরের পর ডিএসইতে এটিই সর্বনিম্ন লেনদেন।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮২৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।