Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সৈকতের

রুম্পা হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:২১ এএম

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যু নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে না তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেই রহস্য ভেদে থানা পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে গোয়েন্দা বিভাগ ও সিআইডি। প্রেমিক সৈকতকে গ্রেপ্তারের পর চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার মৃত্যুর বিষয়ের নানা অংক মিলাতে পারছেন না মামলার তদন্তকারীরা।
এদিকে রুম্পার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে একত্রিত হয়ে কর্মসূচিটি পালন করেন। তাদের হাতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ‘রুম্পা হত্যার বিচার চাই’, ‘বিচার হতেই হবে’, ‘আর কত?’ ‘স্টপ, স্টপ, স্টপ’সহ নানা ¯েøাগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। কর্মসূচির একপর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ¯েøাগানে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এরপর আবারো মূল গেটের সামনে তারা অব¯’ান নেন।
আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জিসাদ মোহাম্মদ বলেন, রুম্পা হত্যার পাঁচদিন পার হলেও হত্যার কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। রুম্পা হত্যার রহস্য তার সহপাঠীরা জানতে চায়, তাই দ্রæত এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। গত চারদিন ধরে আমরা ক্যাম্পাসের মধ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলেও প্রশাসন এখনো ঘুমিয়ে আছে। তাই রোববার আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। তিনি বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে রুম্পার ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা না হলে আগামী বুধবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে কঠোর আন্দোলন শুরু করবেন।
ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষিকা সাকিরা বলেন, আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে হারাতে চাই না। আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক, এটাও আমরা দেখতে চাই না। কোনো বাবা তার সন্তান হারাবে, তা আর চাই না। রুম্পা কেনো খুন হয়েছে, কে করেছে, কীভাবে করেছে- তা জানতে চাই। দ্রæত প্রশাসনকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার দাবি জানা”িছ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সৈকতের সঙ্গে রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপে কথোপকথন হতো। মোবাইল ফোনে খুব কমই কথা হতো। কিন্তু একপর্যায়ে গত তিন চার মাস আগে সম্পর্ক আর রাখা সম্ভব নয় বলে রুম্পাকে জানিয়ে দেন সৈকত। কিন্তু রুম্পা সেকতের প্রতি খুবই দুর্বল ছিলেন। তার সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চাইতেন। সৈকতকে নিয়ে খুব স্বপ্ন দেখতেন। আবেগও ছিলো খুব বেশি। ঘটনার দিন সৈকতের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভালো জামাও পড়েন। ওই জামা পড়েই তিনি ক্যাম্পাসে যান।
তবে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৪ ডিসেম্বর পরীক্ষাগার থেকে রুম্পার ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা ও বøাড পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়ার কথা রয়েছে। ফরেনসিক বিভাগে রিপোর্টটি পৌঁছানোর পর রুম্পাকে ধর্ষণের বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ