পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোনভাবেই যেন পাট সেক্টরের সঙ্কট উত্তরণ সম্ভব হচ্ছে না। মিটিং মিছিল হরতাল অবরোধ শেষে শ্রমিকরা এখন রাজপথে আমরণ অনশন কর্মসূচি দিয়েছেন। এতে যেমন শ্রমিক আন্দোলন দানা বাঁধছে, তেমনি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দেনার দায়ে নাজুক অবস্থারয় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, নিয়মিত মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯ পাটকলের অর্ধলাখ শ্রমিক আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন।
মিল শ্রমিকরা বলছেন, রাষ্ট্রয়ত্ত পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য ১শ’ কোটি টাকা প্রদান করা হলেও মূল দাবি মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে শ্রমিকরা ঘরে যাবে না বলে ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মূল ফটকের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানান সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ নেতারা। গত রোববার গেটসভায় ৯ পাটকল শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন পালন করার শপথ করেন।
সূত্রমতে, খুলনা-যশোর অঞ্চলের এসব পাটকলের মোট দায়-দেনার পরিমাণ এক হাজার ১৯৬ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মজুরি, বেতন, পিএফ, গ্রাচ্যুইটি, পাটের দেনা, ব্যাঙ্কসহ অন্যান্য খাতের এসব দেনা বহন করছে পাটকলগুলো। দেনার কারণে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি ও বেতন পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্যদিকে, পাটকলগুলোতে প্রায় ২৭০ কোটি টাকার পাটপণ্য মজুদ থাকলেও তা বিক্রি করতে পারছে না তারা।
বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার অন্যতম দফা পাটখাতকে আধুনিকায়ন করতে শ্রমিকবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে পাটখাতের সাথে জড়িত শ্রমিক কর্মচারীদের আর কষ্টের দিন থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন। বেসরকারি পাটকল মালিক পরিষদের কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল। যে কারণে পিছিয়ে পড়েছি আমরা। পাট খাতকে অগ্রসর করার অন্তরায়সমূহ দূর করে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন শুধু সময়ের ব্যাপার বলে তিনি জানান। শ্রমিকরা পরিশ্রম করে মজুরি নেয় বিনা পরিশ্রমে তারা মজুরি চায় না। তাই পাটখাতে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে অবিলম্বে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সমপরিমাণ পাট ক্রয় করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে ক্রিসেন্ট জুটমিলের সিবিএর সাবেক সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপি জোট সরকারের আমলে আন্দোলনে জসীমসহ শ্রমিকরা জীবন দিয়েছে। এবার ন্যায্য দাবি আদায়ে জীবন দিতেও প্রস্তুত তারা। সকল শ্রমিককে অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে যেয়ে চাকরি হারিয়েছি। মামলায় জেল খেটেছি। এবার জীবন উৎসর্গ করতে হলে তাও প্রস্তুত। আবেগঘন কণ্ঠে একথা বলার সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
স্টার জুট মিলের প্রকল্প প্রধান রইজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, মিল শ্রমিকদের ১০ সপ্তাহ আর কর্মচারীদের দুই মাসের বকেয়া মজুরি ও বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে। তবে কর্মকর্তাদের পাওনা টাকা এখান থেকে দেয়া হচ্ছে না। মজুদ পণ্য বিক্রয়ের টাকা থেকে কর্মকর্তাদের বেতন পরিশোধ ও পাট ক্রয় করার নির্দেশনা রয়েছে।
বিজেএমসির খুলনা জোনের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা বনিজ উদ্দিন মিয়া জানান, খুলনা অঞ্চলের পাটকলগুলোর সার্বিক তথ্য বিজেএমসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাওনা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে দেনা পরিশোধ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।