পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও সাধারণ নাগরিক সমাজ। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ১১টা বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও সাধারণ নাগরিক সমাজ-এর উদ্যোগে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু হয়। বেলা ২টা পর্যন্ত দেখা যায় ১ এক হাজার ২১১ জন সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে স্বাক্ষর করেন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আপনাদের মতামত সরকারের কাছে পৌঁছাতে চাই। সরকার নিশ্চই জনগণের মতামতের মূল্যায়ন করবেন। লাইফ লাইনে সুবিধা দেয়া কথা বললেও নাগরিকরা প্রকৃতপক্ষে সে সুবিধা পাচ্ছে কি না তার তদন্ত হওয়া উচিত। কতিপয় দুর্নীতিবাজ আর লুটেরাজের জন্য বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা মোটেও সমীচীন হবে না। তাই সরকারের উচিত কমিশনকে বলা আনিত প্রস্তাব বাতিল করা হোক। কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, রফতানিখাত এমনিতেই প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। নতুন করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করলে দেশের শিল্পে উৎপাদনের ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটবে। সেই সাথে জীবন যাত্রার ব্যয় অসহনীয় হয়ে পড়বে। আব্দুল মজিদ গাজী নামে একজন সাধারণ নাগরিক বলেন সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছেন। রুমি নামে একজন নারী বলেন, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের পর বিদ্যুৎ সিন্ডিকেট করে জীবন যাত্রার দূবীর্ষহ করার পাঁয়তারা করছে স্বয়ং সরকার।
মো. ফরিদ হোসেন বলেন, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি নাগরিকদের উপর নির্যাতন ছাড়া কিছুই না। তাহমিদ বলেন ঢাকায় ম্যাসে থাকি, ম্যাসের মালিক বলে দিয়েছেন জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়লে ম্যাসের ভাড়াও বেশি দিতে হবে।
রফিকুল ইসলাম নামে চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেন যে বেতন পাই তা দিয়ে এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে আর সংসার চালানো যাচ্ছে না। আবার বিদ্যুতের দাম বাড়লে সৎভাবে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। মুক্তিযোদ্ধা অলিউর রহমান বলেন, লুটেরাদের কাছ কাছে অর্থকারি তুলে দেয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করি নাই। কেউ কেউ আয়োজক সংগঠনের প্রতি অনুকম্পা দেখিয়ে বলেন কষ্ট করছেন, কাগজ নষ্ট করেছেন এই আর কি। সরকার যদি জনগণের কথা বুঝতো তাহলে এই প্রস্তাব অনকে আগেই বাতিল করার নির্দেশ দিতেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জোয়ারদার, মোস্তফা, রাজ্জাক, গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।