পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শীত শুরু হতেই বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। নগরীর ফুটপাতে বাড়ছে হকারদের ব্যস্ততা। গরম কাপড় বিক্রির হাঁকডাক ফুটপাত, হকার মার্কেট থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণি কেন্দ্রেও। চাদর, কম্বল, সুয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, বেøজার, ক্যাপ, হাত ও পায়ের মোজাসহ হরেক কাপড়ের সমাহার বাজারে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জহুর হকার্স মার্কেটে আমদানি করা কাপড়ের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। নগরীর তামাকুমন্ডি লেইনের দোকানগুলোও দেশি-বিদেশি গরম কাপড়ে ঠাসা। অভিজাত বিপণি কেন্দ্রগুলোতেও হাল ফ্যাশনের বর্ণিল সব গরম কাপড় শোভা পাচ্ছে। বাড়ছে কেনাকাটাও।
তামাকুন্ডি লেইনে ঘুরে দেখা যায় সেখানে হরেক রকমের গরম কাপড়ের সমাহার। ব্যবসায়ীরা জানান, কেনাবেচা বেশ জমে উঠছে। প্রতিটি দোকানে দেশি-বিদেশি কাপড়ের প্রচুর মজুদ রয়েছে। ক্রেতারা দেশে শুনে পছন্দের কাপড়টি কিনে নিচ্ছেন। সেখানে তরুণদের জন্য নানা আইটেম রয়েছে। বেøজার, কোট, সুয়েটার আর হরেক রকমের মাফলারও মিলছে। শীত নিবারণের পাশাপাশি আধুনিতকার ছোঁয়াও রয়েছে এসব গরম কাপড়ে। দামও নাগালের মধ্যে বলে জানান ক্রেতারা।
বিক্রেতরা জানান, গেল কয়েক বছর গরম কাপড় মজুদ করে তাদের লোকশান গুনতে হয়েছে। কারণ তেমন বেশি শীত পড়েনি, বেচা হয়নি গরম কাপড়ও। এবার শুরুতে শীত একটু বাড়ায় কেনাকাটা বাড়বে বলে মনে করছেন তারা। প্রতিদিন বিকেল থেকে নগরীর নিউমার্কেটের আশেপাশের ফুটপাতে চলছে গরম কাপড়ের বিকিকিনি। নানা শ্রেণি পেশার মানুষ সেখান থেকে পছন্দের কাপড় কিনে নিচ্ছেন। কমদামেও মিলছে নানান ধরনের পোশাক। বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকর্ষণে দিচ্ছেন নানা হাঁকডাক। ১০ টাকা, ২০ টাকা ও ৩০ টাকা হাঁকিয়ে মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুলের সামনে হকাররা শিশুদের বিভিন্ন সাইজের কাপড় বিক্রি করছে। এ সময় অভিভাবকদের জটলা দেখা যায় শিশুদের কাপড় সংগ্রহ করতে। ক্রেতা যত বাড়ে ততই বিক্রেতাদের হাঁকডাক বেড়ে যায়।
নগরীর জহুর হকার্স মার্কেট, আমতল, নিউমার্কেট মোড়, নুপুর মার্কেটের সামনে, স্টেশন রোডে জমেছে গরম কাপড়ের বিকিকিনি। এছাড়া নগরীর আগ্রাবাদ, ইপিজেড মোড়, জিইসি মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে সড়কের ফুটপাতে চলছে গরম কাপড়ের বিকিকিনি। এখন বন্দরনগরীর ফুটপাতে সুয়েটার, জ্যাকেট, বেøজার, কম্বলসহ সব ধরনের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ এখন গরম কাপড় সংগ্রহ করতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন এখন নগরীতে আসছে শীতের কাপড় সংগ্রহ করতে। সুয়েটার ২শ থেকে ৩শ টাকা, জ্যাকেট ৪শ থেকে দেড় হাজার টাকা, বেøজার ৫শ থেকে দুই হাজার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
হকার জসিম উদ্দিন জানান, এখন গরম কাপড়ের বিকিকিনি মাত্র শুরু হয়েছে। পুরোদমে শীত শুরু হলে বিক্রি বাড়তে থাকবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ আমাদেরকে ৫টার আগে বসতে দিচ্ছে না। আগে থেকে বসতে পারলে বিকিকিনি ভালো হতো। তবে নগরীর অনেক এলাকায় হকারদের দিনভর বসতে দেখা গেছে। বিভিন্ন অলিগলিতেও ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে গরম কাপড়।
চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন জহুর হকার্স মার্কেট গরম কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। সেখান থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে কাপড় কিনে নিয়ে যায়। হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানায়, একসময় বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় আমদানি করে গরম কাপড়ের চাহিদা মেটানো হতো। তবে এখন দেশেও গরম কাপড় তৈরি হচ্ছে।
শীত আসার আগেই জহুর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দেশি-বিদেশি কাপড়ের মজুদ গড়ে তোলে। এখন পাইকারি বেচাকেনা প্রায় শেষের দিকে। মার্কেটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম লেগে আছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিশেষ করে তরুণ-তরুণী ও গৃহিনীরা পছন্দের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।