পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের স্মরণকালের জাঁকজমকপূর্ণ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনে মরাগাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না।
বিএনপির নেতা নেই, নেতৃত্ব আসবে কোথা থেকে এমন প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, টেমস নদীর ওপার থেকে নির্দেশ আসে আর পুতুল ফখরুল নাচে। বিএনপির অস্তিত্ব কোথায়? তাদের দুই উইকেট পড়ে গেছে। আরও যাবে। অস্তিত্ব সংকটে আছে বিএনপি। বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের বিশাল সামিয়ানার নিচে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর সরব উপস্থিতিতে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আমীর হোসেন আমু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কোথাও কোন উন্নয়ন করেনি। দিয়েছে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট, হাওয়া ভবন। আর হাওয়া ভবন মানে খাওয়া ভবন। আওয়ামী লীগে কোন হাওয়া ভবন নেই। দুর্নীতিতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বিএনপি। অথচ তারা দুর্নীতির কথা বলে। এটাকে ভূতের মুখে রামনাম হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। আন্দোলন ও নির্বাচনেও ব্যর্থ হয়েছে। এখন বসে বসে গলাবাজি আর প্রেস ব্রিফিং করছে। সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঝড়, দুর্যোগ, অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত আর জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা।
শুধু বাংলাদেশ নয়, তিনি সারা বিশ্বে আজ প্রশংসিত। বিশ্বের তিনজন সৎ রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে শেখ হাসিনা একজন, চারজন পরিশ্রমী নেতার মধ্যে তিনি একজন, ১০ জন প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কের একজন শেখ হাসিনা। ৪৪ বছরের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক, জনবান্ধব সরকার, সাহসী রাজনীতিবীদ, সফল কুটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে এ মন্ত্রী বলেন, সরকার উৎখাতের পাঁয়তারা করছে তারা। চক্রান্তের চোড়াগলি বেছে নিয়েছে বিএনপি। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
পাশাপাশি তিনি পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডে সুন্দর ছবি দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না বলে জানিয়ে তা হতে হলে মানুষের হৃদয়, মানুষের ভালোবাসাকে জয় করতে হবে বলেও জানান। সুবিধাবাদী খারাপ লোকদের আওয়ামী লীগে দরকার নেই। এরা উন্নয়ন অর্জন উই পোঁকার মত খেয়ে ফলবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগে কোন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদক, ভূমিদস্যু ও দখলদারদের দরকার নেই। শীতের অতিথি পাখি, মৌসুমী পাখিদের দরকার নেই। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে বিজয়ের জয়গান গাই, ধ্বংস স্তূপে দাঁড়িয়ে দেশের পতাকা উড়াই, জনগণই আমাদের ক্ষমতার উৎস।
শেখ হাসিনা কোনো অবস্থাতেই এসব কিছু বরদাস্ত করবেন না। আগামী দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হলে, কর্মিদের তিনি জনগণের পাশে দাঁড়াবার পরামর্শ দেন। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে ত্যাগী কর্মীদের বাঁচাতে হবে, ত্যাগী নেতাদের বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। তাই দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার ক্ষমতায় আনার আহŸান জানান তিনি।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল এর সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মÐলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। বিশেষ বক্তা ছিলেন পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহŸায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মেজর অব. হাফিজ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী স.ম রেজাউল করিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বরুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহানারা আবদুল্লাহ, সাবেক এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় উপস্থিত ছিলেন।বিকেলে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে কাউন্সিল শেষে সাবেক সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীরকে সভাপতি ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।