পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনার্স সমাপনী দিন উপলক্ষ্যে ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। প্রচলিত র্যাগ ডে’র পরিবর্তে ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এতিমদের নিয়ে খাবার খেয়েছেন তারা। বিষয়টিকে নিয়ে প্রশাংসা করেছেন বিভাগের শিক্ষকদের পাশাপাশি অন্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও।
ঢাবি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ১০ম ব্যাচ সফলভাবে অনার্স জীবন সমাপ্ত করে। শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। তবে এবার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই তৎপর ছিলেন। তিনি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে ক্যাম্পাসে উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো, ক্যাম্পাস নোংরা করা ও অন্যদের কাছে দৃষ্টিকটু দেখায় এমন কোন কর্মসূচি না নিতে পরামর্শ দেন।
বিভাগীয় প্রধানের পরামর্শ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ব্যাতিক্রমী কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরমধ্যে রয়েছে ১০ম ব্যাচের নামে আলাদা ওয়েবসাইট চালু, বিশ^বিদ্যালয় ও বিভাগের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরী ও প্রদর্শন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত তথ্য সমৃদ্ধ ডায়েরি ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর বাইরে ব্যাচের উদ্যোগে আজিমপুরে সলিমুল্লাহ এতিমখানায় এতিম শিশুদের নিয়ে একবেলা খাবার আয়োজন করা হয়।
‘অনার্স সমাপনী ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০১৯’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো কুরআন তেলাওয়াত, হামদ, নাতে রাসুল (সা.), কবিতা আবৃত্তি, নিষ্কলুষ কৌতুক, শালীন শব্দে রম্য সংবাদ পাঠ, দেশাত্মবোধক গান, স্মৃতিচারণ ইত্যাদি। এতে বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। ১০ ব্যাচের পক্ষ থেকে হাতে আঁকা সুন্দর ক্যালিওগ্রাফি বিভাগের ক্লাসরুমে স্থাপন করা হয়। এছাড়া ইসলামী স্থাপত্যের নিদর্শনস্বরূপ বিভিন্ন আলোকচিত্র ব্যবহার করে পুরো বিভাগকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
শিক্ষার্থীদের আয়োজনের প্রশংসা করে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, আমরা শুরু থেকেই চেয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের কারণে যেন ক্যাম্পাসের অন্য কেউ কষ্ট না পায়। প্রচলিত র্যাগ ডে’র নামে দেখা যায় ক্যাম্পাসে উচ্চ শব্দে গান, নাচের কারণে অন্যদের ক্লাসে সমস্যা হয়। এতে ঘোড়ার গাড়ি, রংসহ বিভিন্ন বিষয় থাকায় অনেক সময় ক্যাম্পাস নোংরা হয় ও অন্যরাও কষ্ট পায়। আর যেহেতু এটা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ তাই আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকা জরুরী। শিক্ষার্থীরা যে প্রোগ্রামগুলোর আয়োজন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।