পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিকদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা জারুরি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অন্য সমস্যার মতো কৃষিক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। গতকাল রোববার রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টার আয়োজিত ‘সার্ক চার্টার ডে’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রভাব পড়ছে আমাদের মতো ছোট দেশগুলোর ওপর। এ কারণে মাটি, পানি ও বায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের কৃষি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ এবং কর্মীরা অংশ নেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বর্তমানে মাছ, আলু, ভুট্টাসহ বিভিন্ন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা খাদ্য নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। একটি রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার তুলনায় খাদ্য নিরাপত্তা কোনো অংশে কম নয়। তবে এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত যেখানে ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত করে রফতানির মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে, সেখানে আমরা সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে পাচ্ছি মাত্র ২০ টাকা। আমাদের এ সেক্টরে আরও বেশি উন্নতি করতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে ভারতের সাহায্যও নেয়া যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) নাহিদ সোবহান, সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালক ড. এস এম বখতিয়ার।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতীয় বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ও ভারতীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আইসিএআরের পরিচালক ড. ত্রিলোচন মহাপাত্র। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সার্কভুক্ত সব দেশই এর সম্মুখীন। উন্নত দেশগুলোর প্রভাব আমাদের মতো কৃষিপ্রধান দেশগুলোর পানি, বায়ু ও মাটির ওপর বিদ্যমান। অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য আমাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে এর তুলনায় সঠিক ব্যবহার জানলে জৈব সারে অধিক ফসল পাওয়া সম্ভব এবং সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।