Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এ কেমন মা

স্টাফ রিপোটার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১৪ দিনের নবজাতককে রেখে পালিয়েছেন মা। এ ঘটনায় হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নানাজন শিশুটি ও তার পরিবারকে নানা মন্তব্য করছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া শিশুটি প্রথমদিকে অসুস্থ থাকলেও সেবা-যতœ পেয়ে এখন বেশ সুস্থ।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মুক্তি রানী দাস জানান, গত ১৪ দিন আগে এখানে প্রসব করে এই শিশুটি। চার দিন প্রসূতি ও নবজাতক একসঙ্গে ছিল। পরে চলেও যায় তারা। কিন্তু ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আবারো ভর্তি হয়। তারপর শুক্রবার রাতে শিশু রেখে মা চলে যান। তবে চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেখানে এই ঠিকানায় তাদের কোনো অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এই নিয়ে বেকায়দায় পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ধারণা করা হয়েছে ওই নারী তার সঠিক পরিচয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেননি। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিনকে অবগত করেন। থানার এসআই রাশেদুজ্জামান ও চাঁদপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, হাসপাতালে ফেলে যাওয়া শিশুটিকে নিয়ে যেতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর মধ্যে একজন মা তার বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করেছেন। শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় কর্মরত বিল্লাল হোসেন জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে তার সহধর্মিণী জমজ শিশু জন্ম দেন। কিন্তু দুটি সন্তান ভ‚মিষ্ট হবার পর মারা যায়। এমন পরিস্থিতিতে একজন মা নবজাতক রেখে চলে গেছেন। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। এর মধ্যে তার সহধর্মিণী বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করেছেন।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আজিজ জানান, অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া শিশুটির শারীরিক অপূর্ণতা থাকলেও এখন ভালো সেবা পেয়ে দ্রæত সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। একজন মা তাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। এর মধ্যে এই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে নীলা।
চাঁদপুরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার জানান, গত তিন মাস আগেও এমন আরেকটি শিশুকে চট্টগ্রামে শিশুমনি নিবাসে লালন-পালনের জন্য পাঠানো হয়েছে।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ শাহ আলম ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:০৯ এএম says : 0
    কেয়ামতের আলামত।
    Total Reply(0) Reply
  • জামিল ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫১ পিএম says : 0
    বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুজ্জামান ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম says : 0
    এদের মত কিছু মায়ের কারণে মা নামটির দুর্ণাম হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • মাসুম ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম says : 0
    তাকে মা বলা ঠিক হবে কিনা সেটাই আমার বুঝে আসে না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ