পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি। আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের সিনেমা দর্শক হারিয়েছে। কীভাবে দর্শককে আবারও হলে ফেরানো যায় সেজন্য অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি আমরা।’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দর্শক ফেরাতে হলে সিনেমা ও সিনেমা হল ডিজিটালাইজড করতে হবে। দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সিনেমা হল ডিজিটাল করতে হবে। কেননা, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের জন্য সময় উপযোগী বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২০১৭ ও ২০১৮ সালের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’প্রদান শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বিশ্ব দরবারে আমরা আমাদের একটা স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সংস্কৃতি জগতেও ভালো কিছু করে আমাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে মুজিববর্ষ এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কথা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতার জীবনী নিয়ে ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নিমার্তা শ্যাম বেনেগাল একটি জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র বানাবেন। আরও কিছু নির্মাতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করবেন। যারা এসব ভিডিও নির্মাণ করেছেন তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। আজ জাতির পিতার নাম শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বে স্থান পেয়েছে। জাতির পিতার ভাষণ বিশ্বের প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮' পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক।
পুরস্কার প্রদান শেষে শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিপ্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশের চলচ্চিত্র তথা শিল্প-সংস্কৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ, ভালোবাসা ও অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পকলার সবগুলো মাধ্যমের ভেতরে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে মানুষের মনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। মানুষের মনে গভীর দাগ কাটতে পারে এই চলচ্চিত্র। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে মানুষের জন্য।'
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সরকার প্রধান বলেন, আগামীতে আরও বড় পরিসরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান করা যায় কিনা সে ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে। যেমন আমরা যাদের পুরস্কার প্রদান করছি, তাদের কাজের কিছু অংশ তুলে ধরা যেতে পারে এই অনুষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।