পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সকালে এর উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। প্রধান অতিথি থাকবেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। কে হচ্ছেন সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি গতকাল বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি সম্মেলনের দায়িত্বশীল কোনো নেতা।
জানা গেছে, তৃণমূলের নেতাদের চাওয়া অনুযায়ী এবং বিতর্ক এড়াতে গতকাল শনিবার বিকাল পর্যন্ত সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি ছিলো জেলার নেতাদের। তবে ভোট ছাড়া কাউকে নেতৃত্বে আনা হলে তা শুধু দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে দলের স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সরে দাঁড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। দলীয় সভায় তিনি বলেছেন, প্রার্থী হচ্ছেন না এবার। প্রার্থী তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহরিয়ার আলমের নাম শোনা গেলেও তিনিও জানিয়েছেন প্রার্থী হচ্ছেন না। তবে সভাপতি প্রার্থী থাকছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, সাবেক এমপি রায়হানুল ইসলাম রায়হান, সাবেক এমপি জিন্নাতুন নেছা তালুকদার, সাবেক এমপি কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, জেলার বর্তমান সহসভাপতি মকবুল খানসহ আরো কয়েকজনের নামও সভাপতি প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হচ্ছেন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ, বাগমারা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন।
গতকাল দুপুরে সম্মেলন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মঞ্চের টুকটাক কাজ বাকি। মাঠে তখন মাইক লাগানো হচ্ছিল। সব কাজ তদারকি করছিলেন সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহŸায়ক প্রবীণ নেতা মেরাজ উদ্দিন মোল্লা। সবকিছু ঘুরে দেখছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ দলীয় অন্য নেতারা।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুনে ভরে গেছে পুরো রাজশাহী মহানগরী। নগরীর প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৩০টি তোরণও নির্মাণ করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে সম্মেলনস্থলের প্রধান তোরণটি উৎসর্গ করা হয়েছে জাতীয় চার নেতার অন্যতম রাজশাহীর কৃতি সন্তান শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানকে। অন্য তোরণগুলো উৎসর্গ করা হয়েছে দলের প্রয়াত অন্য নেতাদের। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেবেন।
তবে কাউন্সিলর থাকবেন ৩৬০ জনের মতো। এবার জেলা আওয়ামী লীগের ২১ জন উপদেষ্টাও কাউন্সিলর হবার সুযোগ পাচ্ছেন। কাউন্সিলররা চাইছেন, এবার ভোটের মাধ্যমেই যেন নেতা নির্বাচন হয়।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর। ওই সম্মেলনে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে চলে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। এর প্রায় এক বছর পর পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে সম্মেলন প্রস্তুতির বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতিই এখন প্রায় শেষ। কাল সকাল থেকে শুরু হবে সম্মেলন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করা ছাড়াও সম্মেলনের কাউন্সিলররা এবং আগত নেতাকর্মীদের আপ্যায়নের সব প্রস্তুতি রাখা আছে। কাল সকাল থেকে আপ্যায়নের সার্বিক কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।