Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্ন : কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী আমাকে বলে যে, আমি যেন আমার দুধের শিশুকে আমার সাথে নিয়ে যাই। এ কথার উত্তরে আমি তাকে বলি, ‘তোমার মতো মায়ের আমার দরকার নাই, যে তার দুধের শিশুকে অন্যের কাছে ছেড়ে যায়।’ উল্লেখ্য যে, তখন আমার স্ত্রীর হায়েজ (মাসিক) চলছিল। পরে অবশ্য আমার কথা ফিরিয়ে নিয়ে আমি বলি যে, ‘তোমার দরকার আছে’। এখন প্রশ্ন হলো, একথার দ্বারা কি আমার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে। আর উপরোক্ত কথা যখন বলি, তখন আমার তালাকের নিয়ত ছিল কি না, এখন আর খেয়াল নেই।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:১৩ পিএম

উত্তর : যেহেতু খেয়াল নেই, তাই তালাক না হওয়ারই কথা। এরপরও যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটি ছিল প্রত্যাবর্তনযোগ্য এক তালাক। যা স্ত্রীকে কমবেসী ৩ মাসের ভেতর গ্রহণ করলেই বিবাহ অটুট থাকে। তবে, তালাক প্রদানের একটি সুযোগ চিরতরে শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আলাদা দু’টি তালাক কিংবা একটি ও প্রত্যাবর্তনযোগ্য তালাক দেওয়ার অপশন বাকী থাকে। আপনার বিয়ের কোনো ক্ষতি হয় নি। ভবিষ্যতে ঠান্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন। তালাকের সুন্নাত পদ্ধতি খুবই শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ। রাগের সময় এ বিষয়টি চর্চা করতে নেই। আর তালাকের বিষয়টি জীবনে চর্চা না করাই কাম্য। হাদীস শরীফে এসেছে, অনুমতি আছে এমন যত বিষয় জগতে আছে, তার মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট হচ্ছে, তালাক।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • রুবেল ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    নিয়্যত না থাকলে হবে না?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ