পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসামাজিক কাজের টাকা নিয়ে বাদানুবাদের কারণেই মিরপুরে রহিমা বেগম (৬৫) ও সুমী আক্তারকে (২০) খুন করা হয়েছে। অনৈতিক কাজ শেষে ওই দুই নারীর চাহিদা ছিল ছয় হাজার টাকা। কিন্তু আসামিদের কাছে ছিল তিন হাজার টাকা। পুরো টাকা না দিতে পারলে তাদের বের হতে দেবে না বলে ‘মৃত্যু ভয়ও’ দেখানো হয়। পরে পালিয়ে যাওয়ার জন্যই তারা ওই দুই নারীকে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত আসামি ইউসুফ (২৩) ও রমজান (২২) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন। এর আগে মিরপুরে ফ্ল্যাট বাসায় জোড়া খুনের ঘটনায় বুধবার রাতে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে ডিবি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি জানান, বাবুল নামে এক ব্যক্তি গত সোমবার তাদের মিরপুরের ওই দুই নারীর (রহিমা ও সুমি) কাছে পাঠায়। অনৈতিক কাজের জন্য রহিমার দাবি ছিল ছয় হাজার টাকা। কিন্তু ওই সময় আসামিদের কাছে ছিল তিন হাজার টাকা। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামির একজন (ইউসুফ) সারা রাত সুমির সঙ্গে এক রুমে ছিলেন। অন্যজন (রমজান) ছিলেন বারান্দায়। পরে, চাহিদা মতো টাকা না দিতে পারলে তাদের ওই বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হবে না এবং সকালে বিষয়টি বাবুলকে জানানো হবে বলে তাদের মৃত্যু ভয়ও দেখায় রহিমা।
মৃত্যুভয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সোমবার দিনগত রাতে প্রথমে সুমিকে গলাটিপে হত্যা করে আসামি ইউসুফ। পরে বারান্দা থেকে রমজানকে ডেকে এনে রহিমাকে ডাকলেও প্রথমে তিনি দরজা খোলেননি। কিছুক্ষণ পর ফোন করে বলার পর দরজা খুলে পাশের রুমে আসলে দুইজন মিলে গলাটিপে রহিমাকেও হত্যা করে। এভাবেই দুই নারীকে খুন করে সেখান থেকে একটি মোবাইল, নগদ ১৪ হাজার টাকা এবং ইমিটেশনের তিনটি চেইন ও একটি দুল নিয়ে পালিয়ে যায় ইউসুফ ও রমজান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন জানান, আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া বাবুল নামের ওই ব্যক্তির খোঁজও করা হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতেই বৃদ্ধার মেয়ে রশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় রহিমা বেগমের পালক পুত্র সোহেলকে পুলিশ হেফাজতে নিলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।