পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী হযরত আয়েশা সিদ্দিকার (রহ.) মতো একজন মহিয়সী নারীকে সেক্স সিম্বল নায়িকার নাম ভূমিকায় দেখিয়ে নির্মিত ”ন ডরাই” চলচ্চিত্র নির্মাণের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেছেন, অশ্লীল নৃত্য গীত ও দেহবল্লরী প্রদর্শন সম্বলিত ছায়াছবি ”ন ডরাই” প্রদর্শনের অনুমতি দেয়া অমার্জনীয় অপরাধ।
চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ড যৌন ভাবোদ্দীপক অপতৎপরতা ও নগ্ন বীভৎসতায় পরিপূর্ণ উক্ত চলচ্চিত্রটির ছাড়পত্র দেয়ায় এদেশের তৌহিদী জনতা বিস্ময়ে হতাশ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। তিনি ছবিটির ”ন ডরাই” নামকরণকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, জনগণও ছবিটির প্রতিবাদে অকুতোভয়। কারণ ছবিটিতে পর্ণগ্রাফী সংস্কৃতি ধারণ, চর্চা ও অনুশীলন করা হয়েছে।
এতে অশ্লীলতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এর নায়িকাকে পুরুষদের সাথে সাদৃশ্য স্থাপনের এবং তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে দেখা যায় বলে প্রকাশিত খবরে জানা যায়। যা আমাদের মতো রক্ষণশীল দেশের জাতীয় আদর্শ ঐতিহ্য রীতি নীতি ও সংস্কৃতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং সুস্থ রুচির জন্যে পীড়াদায়ক।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন যে, পাশ্চাত্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক অনৈসলামীকরণ প্রক্রিয়ার সাথে স¤পৃক্ত মুসলমান নামধারী এক শ্রেণীর মানুষ পাশ্চাত্যের ইসলাম বিরোধী শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে । তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সম্বলিত বল্গাহীন, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, ব্যাঙ্গাত্মক, অবমাননাকর, অশোভনও উস্কানিমূলক ”ন ডরাই” ছবিটির ছাড়পত্র প্রত্যাহার এবং এই ছবিটি নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার পরিচালককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন না করার জন্যেও প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।