পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ দুটি প্রকল্পের জন্য ২১৩ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে আগামি বছরের জুনের মধ্যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। গত সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের মিলনায়তনে বাংলাদেশ-চীন যৌথ কার্যনির্বাহী দলের প্রথম বৈঠকে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকা সফরকালে ২৭টি প্রকল্পে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এসব প্রকল্পের ধীরগতির কারণ তদন্তে এই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রæপ গঠন করা হয়েছিল। নভেম্বর অবধি ছয়টি প্রকল্পের জন্য ৫৭১ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল যেগুলোর মধ্যে ১০৯ কোটি ডলার বিতরণ করা হয়েছিল। পরে ওয়ার্কিং গ্রæপটি বেইজিংয়ের বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে আগ্রহকে কেন্দ্র করে একটি নতুন এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করেছে। সোমবারের বৈঠকে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রলায়ের উপ-মহাপরিচালক হান ইয়ং একটি ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী। ওই দিনই ঢাকার ওয়েস্টিনে আরেকটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। বাংলাদেশের বিনিয়োগের সুযোগ এবং সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্ব প্রকল্পের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি বেসরকারী অংশীদারি কর্তৃপক্ষ চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীন নিশ্চিত করেছে, দুটি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য তারা চলতি অর্থবছরের মধ্যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।
একটিতে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানিকে শক্তিশালী করার জন্য ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে। দু’টি চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি বিশদ আলোচনা করা হবে চীনের এক্সিম ব্যাংকের পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে। অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রæপের প্রথম বৈঠক ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ আসন্ন চুক্তিগুলির মাধ্যমে এই অর্থবছরের ঋণের প্রতিশ্রæতি ৩৫২ কোটি ডলার অতিক্রম করবে। এদিকে, চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময়, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহের নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ ও জোরদার করতে ১৪০ কোটি ডলার ঋণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ‘ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা গেলে চীন এ পর্যন্ত যত পরিমাণ ঋণ ছাড় করেছে তা একটি বড় পদক্ষেপ’ বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পগুলোর আগে চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক দ্বারা দুটি স্তরে তদন্ত করা হত, তবে এখন এটি ঢাকার চীনা দূতাবাস এবং চীনের একটি তৃতীয় পক্ষসহ চার স্তরে সম্পন্ন হয়েছে। চীন এখন সহজ পথ খুঁজে বের করতে চায়, যাতে তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারে। চীনা পক্ষ দ্রæত একটি বিশেষ শিল্প পার্ক বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা করার বিষয়েও কথা বলেছে, যেখানে তাদের নাগরিকরা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করবে। এই কর্মকর্তা বলেন, চীন সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব প্রকল্পগুলিতে আগ্রহ দেখিয়েছে, যাতে চীনা সংস্থাগুলো বিনিয়োগ করতে সক্ষম হবে এবং তাদের নাগরিকরা কর্মসংস্থান পাবে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।