পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। দাম বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিয়েই কয়েক দিন ধরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভবনে শুনানি চলছে। গতকালও ভবনের ভেতরে যখন গণশুনানি চলে তখন বাইরে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি, বাসদসহ বাম ধারার দলগুলো। এর আগে শুনানিতে অংশ নিয়েছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের শরিকরা। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে হরতাল কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিপিবি ও বাসদ। নয়াপল্টনস্থ কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ালে বিএনপি কর্মসূচি দেবে। নিত্যপণ্য ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভবনে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে গণশুনানি চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিপিবি ও বাসদ নেতারা। বিক্ষোভ সমাবেশ উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বলেন, রেন্টাল, কুইক রেন্টালের নামে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দেয়। তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। এখন জনগণের পকেট থেকে সে টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। বিদেশিদের খুশি করতে সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পথে হাঁটছে বলেও তারা মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, বিদ্যুতের দাম বাড়াতে তিন দিন ধরে গণশুনানি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। টিসিবি ভবন অডিটোরিয়ামে পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া গণশুনানি গতকাল শেষ হয়েছে।
গণশুনানি চলার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার কিছু পর পর্যন্ত টিসিবি ভবনের নিচে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিপিবি ও বাসদ। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মস‚চির ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি হচ্ছে। এর আগে বহুবার গণশুনানি হয়েছে। গণশুনানিতে গ্যাসের দাম, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। গণশুনানিতে কোনো সময় সমন্বয় করার কথাও বলা হয়। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে এখানে সমন্বয়ের মাধ্যমে দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে এখানে দাম কমানোর জন্য সমন্বয়ের কোনো সভা হয় না। কোনো গণশুনানি হয় না। এ থেকে বোঝা যায়, শুধু দাম বাড়ানোর জন্য গণশুনানির কথা বলেন তারা।
সমাবেশে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সারা দেশে হরতাল কর্মসূচি দেবো। হরতাল, অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে বাধ্য করব বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে। তিনি আরো বলেন, আজকে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে তা শুধু বিদ্যুতের মধ্যে থেমে থাকবে না। সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাবে। কারখানার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, কৃষকের সেচের খরচ বেড়ে যাবে। সব ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনারা যে দলই করুন না কেন, যেকোনো কর্মস‚চির জন্য প্রস্তুত থাকার আহŸান জানাচ্ছি। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায়ীদের সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লুটেরাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না। সেখানে ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করা যাবে না। শেয়ার মার্কেট লুট করছে যারা, বিদ্যুৎ লুট করছে যারা, পরিবহনের মাফিয়া যারা, এরাই তো সংসদে। তারা কী তাদের স্বার্থ ছেড়ে আমার-আপনার জন্য আইন করবে? বিদ্যুতে যারা লুট করছে, তারা কি গ্রাহকের পক্ষে আইন করবে? করবে না। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন একটা প্রহসন মন্তব্য করে শাহ আলম বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে তামাশা করে। আমাদের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য এরা এখানে বসে। জনগণের পক্ষে তাদের কোনো রায় দিতে দেখিনি। সাংবিধানিক এ রেগুলেটরি কমিশন দখলে নিয়েছে সরকার। তিনি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না যদি সিস্টেম লসের নামে যে চুরি, ডাকাতি বন্ধ হয় বলেও জানান। সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ভেতরে শুনানি চলছে, বাইরে আমরা বিক্ষোভ করছি। এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যেকোনো চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিরোধ করব। রেন্টাল, কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। কুইক রেন্টাল বন্ধ করতে হবে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর দাবিও করা হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।