পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1736570935](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভাগীয় শহর খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ দুই কমিটিতেই সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই যত আলোচনা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সভাপতি পদ নিয়ে আলোচনায় সেভাবে আগ্রহ দেখা না গেলেও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। দুই কমিটিতেই সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য একাধিক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তাদের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। দুই ইউনিটে সভাপতি পদে বর্তমানে যারা আছেন তারাই থাকছেন এমনটি মনে করছেন অনেকে। যদিও এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীসহ চারজনের নাম আলোচনায় রয়েছে।
এদিকে প্রায় ৫ বছর পর আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এবারই প্রথম একদিনে একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে দলটির মহানগর ও জেলা ইউনিটের সম্মেলন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জেলা ও নগরের সভাপতি পদে প্রতিদ্ব›দ্বী একাধিক প্রার্থী না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব। দলের মধ্যে চলমান শুদ্ধি অভিযানের মাঝে কাঙ্খিত এই সম্মেলনে সংগঠনের দীর্ঘদিনের ত্যাগী-পরীক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা তৃণমূলের।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, মহানগর ও জেলা কমিটির সম্মেলনে এখনও সভাপতি পদে একক প্রার্থী হিসেবে নগরের বর্তমান সভাপতি আলহাজ তালুকদার আবদুল খালেক ও জেলা সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক শেখ হারুনুর রশিদের নাম আলোচিত হচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে জেলায় ৬ এবং মহানগরে ৩ জনের নাম উঠে এসেছে।
নগর শাখায় সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান, সদর থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ‘বর্তমান কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বহাল রাখতে পারে। ইতোমধ্যে সভাপতি পদে তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান মিজানকে ‘শেখ পরিবার’ সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। তবে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামও শেখ পরিবারের নেক নজরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। এদিকে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদেও জন্য প্রার্থীদের আমলনামাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে ওই সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
জেলার সাধারণ সম্পাদক পদের দৌড়ে আছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান ও আকতারুজ্জামান বাবু এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ^াস বাচ্চু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অসিত বরণ বিশ্বাস।
এদিকে জেলা সভাপতি রাজনীতিতে প্রবীণ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে এবার তারুণ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের মধ্য থেকে তাদের আমলনামা গুরুত্ব দিয়ে পরিচ্ছন্ন, ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আশরাফুল আলম খান নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দাবি করে বলেন, আমি ১২ বছর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আশা করি যোগ্য নেতা হিসেবেই আমাকে দায়িত্ব দেয়া হবে।
বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বলেন, তৃণমূলের কর্মীরাই দলের শক্তি। তাদের মনোভাব ও মতামতের গুরুত্ব বিবেচনা করেই জেলা সাধারণ সম্পাদক বেছে নেয়া উচিত।অপর প্রার্থী অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি খুলনার রাজনীতির সাথে জড়িত। একসময় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি, এখন খুলনার নীতি-নির্ধারকরা চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে চাই।
২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সম্মেলনে বর্তমান সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই মারা যান। এর পরপর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হাদিও মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।