Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে সমীকরণে ব্যস্ত কর্মীরা

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। কারা আসছেন জেলার নেতৃত্বে। পুরাতনদের পাশপাশি অনেক নতুন মুখ এবার নেতৃত্বের দৌড়ঝাঁপে রয়েছেন। উপজেলা থেকে একেবারে তৃণমূল সর্বত্র আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তৎপর হয়ে উঠেছেন।

সবার প্রত্যাশা চলমান বলয় ভেঙে দলের দুঃসময়ের কান্ডারি যারা কোনঠাসা তাদের যেন এবার মূল্যায়ন হয়। প্রত্যেক উপজেলায় দলের মধ্যে রয়েছে বিভাজন। একদিকে রয়েছে এমপি বলয়। অন্যদিকে দলের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী। অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী এমপি বলয়ে না থাকায় বঞ্চিত হয়েছেন পদ পদবি ও সুযোগ সুবিধা থেকে। এদের অনেকে দলে কোনঠাসা হয়ে নিস্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। এরা এখন জেগে উঠেছেন।

অন্যদিকে এমপি বলয়ের সুবিধাভোগীরা চাচ্ছেন তাদের প্রাধান্য অটুট থাকুক কমিটিতে। এবার তৃণমূল পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। তৃণমূলের প্রত্যাশা এবার নতুন নেতৃত্ব। এমনিতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরাজ করছে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। যার প্রভাব পড়েছে দলীয় কর্মকাÐে। একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারও কম নয়। বিষয়টা হাইকমান্ডেরও অজানা নয়।

সম্প্রতি এদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়। ঘোষণা করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ। শুরুতে ৪ ডিসেম্বর করা হলেও স্থানীয়ভাবে ৮ ডিসেম্বর তা করার জন্য বলা হয়েছে। সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে। তিনি দলের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী নিয়ে স্বচ্ছ ইমেজের জেলা কমিটি উপহার দেবার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার মন্ত্রী এমপি প্রবীণ-নবীন নেতাকর্মীদের নিয়ে একের পর এক সভা করছেন।

উপজেলা পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যায় সর্বত্র দলের মধ্যে রয়েছে বিভক্তি। অভিযোগ রয়েছে পাল্টাপাল্টি। এমপি বিরোধী বলয় বলছেন ওরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে না। বেশিরভাগ রয়েছে সুবিধাবাদী। অনেকে জিরো থেকে হিরো হয়ে গেছেন। আর ত্যাগী যোগ্য নেতাকর্মীরা হয়েছেন বঞ্চিত কোনঠাসা। এখন আ.লীগের রাজনীতি হয়ে গেছে এমপি লীগ।

অন্যদিকে এমপি বলয়ের লোকজন এসব বাজে কথা বলে উড়িয়ে বলছেন ওদের কাজ হলো শুধু সমালোচনা। কোথাও দল তিনচার ভাগে বিভক্ত। ফলে দল ক্ষমতাসীন থাকায় সাংগঠনিক অবস্থা অনেক মজবুত এমনটি মনে হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। দলের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্কে অনেক ফারাক। আসন্ন কাউন্সিল নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী বলছেন জেলা কমিটিতে সভাপতি সম্পাদকের বিরোধে সাংগঠনিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাদের প্রত্যাশা চলমান সকল বিরোধ নিরসন করে আগামীতে স্বচ্ছ সুন্দর নেতৃত্ব।

সবার এক কথা এবার এমন নেতৃত্ব আসুক যারা সত্যিকার অর্থে সৎ। মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। হবেন কর্মীবান্ধব। যারা বিপদে আপদে সব সময় কর্মীদের পাশে থাকবেন। যার কথা আমরা শুনবো। তারাও আমাদের কথা শুনবেন। এমন নেতৃত্ব এখন দরকার। যেমনটি চান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাও।

সর্বত্রই পরিবর্তনের সুর। এ সুরের সাথে বাজছে কারা আসছেন নেতত্বে। তবে তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন হবে নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি করে দিবেন। নেতাকর্মীরা বলছেন ইলেকশন হোক আর সিলেকশন হোক এবার যোগ্যরাই আসবে। এবার কাউন্সিলর হিসাবে যারা আসছেন তারা সবাই ২০০৮ সালের আগের। দল ক্ষমতায় আসার পর যেসব সুবিধাভোগীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে সেই সব হাইব্রিড নেতারা কাউন্সিলর হতে পারবেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ