পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন কাল। সম্মেলনস্থল সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠ ইতিমধ্যে প্রস্তুত। শেষ মূহূর্তের প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পদপ্রত্যাশীরা। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মন জয় করতে পদপ্রত্যাশীরা সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে আসতে শুরু করেছেন। সম্মেলনকে সফল করে তুলতে কাজ করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন এক সাথে হওয়ায় নেতাকর্মীরা ও বেশ উচ্ছসিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে সম্মেলনের উদ্ভোধন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সন্ধ্যায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব। সেখানে ৫০০ ডেলিগেট তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। গতকাল দুপুরে আলিয়া মাদরাসা মাঠের মঞ্চ পরিদর্শন করেছেন নেতৃবৃন্দ। ২০০৫ সালের পর এবার সম্মেলন হচ্ছে সিলেট আওয়ামী লীগে। ২০১১ সালের নভেম্বরের পর এবার আসবে নতুন কমিটি। এবারের সম্মেলনে এখনো কেউ মুখ ফুঁটে বলছেননা কোন পদে প্রার্থী হচ্ছেন। সবার এক কথা নেত্রী দায়িত্ব দিলে নিতে রাজী। আবার যারা নিজেকে প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ করছেন তারাও সাথে ‘নেত্রী যদি দেন’ এরকম কথা যোগ করছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এবার সভাপতি পদে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলার সহ সভাপতি সিলেট ৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও মাসুক উদ্দিন আহমদ। সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, প্রিন্সিপাল সুজাত আলী রফিক, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মোহাম্মদ আবু জাহিদ, সাইফুল আলম রুহেল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, জগলু চৌধুরী এবং প্রিন্সিপাল শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, মহানগরের সম্মেলনেও সভাপতি পদে নাম আসছে বর্তমান সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের। সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর ও এ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিনের নামও উঠে আসছে সভাপতি পদে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নাম আসছে বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, অধ্যাপক জাকির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, এটিএম হাসান জেবুল, জগদীশ দাস, তপন মিত্র ও সিটি কাউন্সিলার সাবেক ছাত্রনেতা আজাদুর রহমান আজাদ, প্রিন্স সদরুজ্জামান এবং ছালেহ আহমদ সেলিম।
সম্মেলন নিয়ে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন সফল হবে। প্রার্থীতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হবে আমি সেটা পালনে প্রস্তুত আছি। সবকিছু নির্ভর করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে গণমানুষের জন্য। এখানে পদপদবী মুখ্য নয়। তবু ও নেতাকর্মীরা চাইছেন আমি যেন সভাপতি হই। সেটা মূলত নির্ভর করছে দলীয় সভানেত্রীর উপর। তিনি যাকে চাইবেন তিনিই সেই দায়িত্ব পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।