পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে বাদ দিয়ে নতুন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করেছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমে এটির আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
সভায় নবগঠিত এলডিপির আহ্বায়ক আব্দুল করিম আব্বাসী বলেন, বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় ১২ বছর আগে ৩৫ জন সংসদ সদস্য বেরিয়ে এসে অলি আহমদকে নেতা মেনে এলডিপি গঠন করেছিলাম। বিএনপি থেকে আমরা বের হয়েছিলাম দল ও সংগঠনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আশায়। কিন্তু দল পরিচালনায় অলি আহমদের একনায়কসুলভ মানসিকতায় আমরা হতাশ হয়েছি। তাই নতুন দল গঠন করতে বাধ্য হয়েছি।
অলি আহমদ কখনও ভিন্ন মতকে সম্মান দেননি দাবি করে আব্বাসী বলেন, তিনি সম্প‚র্ণ একনায়ক ও স্বৈরাচারী কায়দায় দল পরিচালনা করেছেন। তার স্বৈরাচারী কর্মকান্ডের জন্য তাকে বাদ দিয়ে এলডিপির নতুন কমিটি গঠন করেছি। আগামীতে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কাউন্সিলের মধ্য দিয়েই দলের কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
অলির এলডিপির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল গণি বলেন, বিএনপিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অভাবের কারণেই আমরা এলডিপি গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে দলটির সঙ্গে মিলিত হয়েছিলাম, সেই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। তিনিও অভিযোগ করে বলেন, অলি এলডিপি পরিচালনায় কখনও গণতান্ত্রিক ছিলেন না।
নবগঠিত এলডিপির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, কোনও রাজনৈতিক দলের মালিক ব্যক্তি হতে পারেন না। অলি আহমদ দাবি করেছেন, এলডিপির মালিক তিনি। আমরা তার এ দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
কর্নেল অলি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ‘জাতীয় মুক্তিমঞ্চ’ গঠন করেছেন বলে অভিযোগ করে সেলিম বলেন, তিনি দ্রæত ক্ষমতা দখল করতে চান। আমরা তার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়েই তার কাছ থেকে সরে এসেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটেই থাকবে আমাদের এলডিপি। কারণ, বিএনপিই আমাদের মূল নেতৃত্ব দেওয়া দল। কাউন্সিলে নেতাকর্মীরা যদি কর্নেল অলিকে আবারও দলের প্রধান করতে চায়, তারা মেনে নেবেন বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, চারদলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীকে মেনে নিয়েই আমরা জোট স¤প্রসারণ করেছিলাম। চারদলীয় জোটকে ২০ দলীয় জোটে পরিণত করেছিলাম। সেখানে তো জামায়াত ছিলই। কিন্তু অলি আহমদ ২০ দলীয় জোটের বাইরে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে জামায়াতের অর্থ ও জনবল নিয়ে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ গঠন করেছেন। জামায়াত জোটে থাকলেও তাদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানান তিনি।
সেলিম জানান, আবদুল গণিকে আহŸায়ক এবং এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক ও জাকির হোসেন রিয়াজকে যুগ্ম আহŸায়ক এবং এমএ বাসারকে সদস্য সচিব করে বিশেষ কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ, ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি থেকে ৩৫ জন সংসদ সদস্য বেরিয়ে এসে অলি আহমদের নেতৃত্বে এলডিপি গঠিত হয়। এর ১৩ বছর পর কর্নেল অলিকে বাদ দিয়ে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল করিম আব্বাসীকে আহŸায়ক এবং শাহাদাত হোসেন সেলিমকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের নতুন এলডিপির আহŸায়ক কমিটি করা হয়। আহŸায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন আব্দুল গণি, এম আবুল বাসার, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, তৌহিদুল আনোয়ার ও কাজী মতিউর রহমান।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ নভেম্বর এলডিপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে অলি আহমদ সভাপতি ও রেদোয়ান আহমেদ মহাসচিব পুননির্বাচিত হয়েছেন। ওই কমিটি থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক ও তৌহিদুল আনোয়ারকে বাদ দেওয়া হয়। আর অলির নেতৃত্বাধীন কমিটি থেকে বেরিয়ে আসেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম আবুল বাসার আর দফতর সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান। এছাড়া গত ২৬ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে পদত্যাগ করেন আবদুল করিম আব্বাসী।
সেলিম জানান, এ মাসেই কাউন্সিল করে নতুন এলডিপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। সেই কাউন্সিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতাদের এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দাওয়াত দেওয়া হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত আহŸায়ক কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।
সেলিম দাবি করেন, এদিনের বর্ধিত সভায় ৩০ জেলার এলডিপির নেতারা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তারা অলি আহমদের একক নেতৃত্বের রাজনীতি পছন্দ করেন না বলেই এখানে এসেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।