পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধ ও জীবনের প্রয়োজনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ২২ বছর আগে পাহাড়িদের সাথে চুক্তি হয়। ওই চুক্তির পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও পাহড়ে শান্তি ফিরে আসেনি, এ অভিযোগ সরকারবিরোধীদের। আর সরকার পক্ষ বলছে, শান্তিচুক্তির ফলে পহাড়ে শান্তির বাতাবরণ বইছে। এ নিয়ে পক্ষে- বিপক্ষে আছে যুক্তি, পাল্টা যুক্তি, আছে নানান মত। তারপরও ২২ বছর পূর্তি উৎসবে ছিল সব বর্ণিল সব আয়োজন। এ নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পঠানো রিপোর্ট -
বান্দরবান জেলা সংবাদদাতা জানান, বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শান্তি চুক্তির ২২তম বর্ষপূতি উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণশেষে রাজার মাঠে সমবেত হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পার্বত্য এলাকার ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি ও বাঙ্গালীরা মিলে বর্ণিল পোষাক ও ব্যানার-ফেষ্টুন নিয়ে এতে অংশ নেয়। পরে রাজার মাঠে অনুষ্টিত হয় আলোচনা সভা। এ সময় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মো. শাহিদুল এমরান পিএসসি, জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আখতার উস সামাদ রাফি পিএসসি, পৌর মেয়র মোহাম্মেদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিং ইয়ং ¤্রাে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে শুরু হয় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে দিনব্যাপী বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ। চিকিৎসা শিবিরে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করেন। এ সময় মেডিসিন, ডেন্টাল, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে গরীব ও অসহায়দের মাঝে এক হাজার পিচ কম্বল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের বই-খাতা, স্কুল ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন।
রাঙামাটি থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান - নানা কর্মসূচি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ র্যালী ও আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট প্রাঙ্গণে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। পরে ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী কামাল’সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান বক্তব্য দেন।
রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছে এ সরকারই তার অধিকাংশ বাস্তবায়ন করেছে। সরকার ভূমি কমিশন আইন পাশ করেছে। শান্তিচুক্তির বাকি অংশগুলোও দ্রæত বাস্তবায়ন হবে। তবে এর জন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন বক্তারা।
এ ছাড়া বিকালে রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ও রাঙ্গামাটি রিজিয়নের উদ্যোগে দেশের স্বনামধন্য ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।