পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। গতকাল (সোমবার) বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের নিকট গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, পশ্চিম ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান জুয়েল এবং যুবদল নেতা সোহেলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমান্বয়ে চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশনেত্রীকে চিকিৎসা দেয়ার নামে নানা টালবাহানা ও জনগণকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে বেগম জিয়াকে কোন বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রæত অবনতি ঘটা সত্তে¡ও সরকারের লোকেরা বেগম জিয়া সুস্থ আছেন বলে তোতা পাখির মতো সরকারের শেখানো বুলি আউড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে বিনা চিকিৎসায় আপনি অমানবিক কষ্ট দিচ্ছেন, তাঁর প্রতি এই নিষ্ঠুরতা বিশ্বের স্বৈরশাসকরা যে আচরণ করে সেই আচরণেরই সমতুল্য। বেগম জিয়াকে আর কষ্ট না দিয়ে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। আপনি জনগণের পুঞ্জিভুত ক্রোধ আঁচ করতে পারছেন না বলেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি না দিয়ে তাঁকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছেন। কিন্তু আপনার নেতৃত্বে পরিচালিত ফ্যাসিবাদী সরকারের লোহার খাঁচা ভেঙ্গে দেশনেত্রীকে মুক্ত করার জন্য জনগণ এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
রিজভী বলেন, দেশে ভয়াবহ দু:শাসনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনগণের এখন নাভিশ্বাস উঠেছে, দেশ পরিচালনায় আপনারা এখন চারিদিক দিয়েই ব্যর্থ। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দু:শাসনকে প্রতিরোধ করার জন্য মানুষ এখন পথে পথে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-পৃথিবীর অতীত ইতিহাস ভুলে যাবেন না, কোন স্বৈরাচারী শাসক এভাবে দেশে দুঃশাসন চালু রেখে জনগণের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি। যুগে যুগে বিশে^ স্বৈরশাহীর পতনের মতোই আপনাদেরও যেকোন মূহুর্তে পতনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।