পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্ত্রীকে নির্যাতন করার মামলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) ড. জাকির হোসেনকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মেট্্েরাপলিটন আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিনের নির্দেশ দেন। গত শনিবার রাতে রাজধানীর বেইলী রোডের সুপিরিয়র অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে তিনি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন।
রমনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. ফাতেমা জাহান শনিবার বিকেলে একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ২০। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী তাকে নির্যাতন করতেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কারাগারে যেতে হয়নি। আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা জাহান বারী একজন চিকিৎসক। এক সময় তিনি পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমান কর্মস্থল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত শনিবার রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ফাতেমা জাহান বারী উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়। পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তিনি দ্বিতীয়বার জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যান। মিশন থেকে পাওয়া টাকার প্রতি জাকির হোসেনের লোভ জন্মে। তিনি ৭০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এই টাকা দিতে না চাইলে জাকির হোসেন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। গত দুই আগস্ট রাতে জাকির মারধর করলে তার বাম চোখের ভ্রুর ওপরে কেটে যায়। জখমের স্থানে তার আটটি কসমেটিকস সেলাই করতে হয়। রান্না ঘরের ক্যাবিনেটের দরজা খুলতে গিয়ে দরজার আঘাতে জখম হয়েছে এমনটা বলতে বলতে বাধ্য করেন জাকির।
মামলায় ফাতেমা জাহান বারী আরও উল্লেখ করেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আবারও যৌতুক দাবিতে তাকে প্রচন্ড মারধরে রক্তাক্ত করেন জাকির।
মামলা করে জামিনের জিম্মাদার হওয়ার বিষয়ে ফাতেমা জাহান বারী বলেন, বাবা-মা তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। তারা এখন অসুস্থ। তাদের অনুরোধে তিনি স্বামীকে একটি সুযোগ দিতে চান। সে জন্যই জিম্মাদার হয়েছেন। ফাতেমা জাহান বারী বলেছেন, জাকিরকে তিনি ১৫-২০টি শর্ত দিয়েছেন। প্রতিটি শর্ত মেনে নেয়ায় তিনি জিম্মাদার হয়েছেন। তবে মামলা তিনি প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।