Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে প্রকাশ্যে গুলি করে আনসার সদস্যকে হত্যা

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

যশোর শহরতলী হাশিমপুরে সশস্ত্র সন্তাসীরা গুলি করে আনসার বাটালিয়নের সদস্য হোসেন আলী তরফদারকে (৫৫) হত্যা করে বীরদর্পে চলে যায়। হোসেন আলী হাশিমপুর গ্রামের তরফদারপাড়ার আরশাদ আলী তরফদারের ছেলে। তিনি গতকাল শনিবার সকাল ১১ টার দিকে যশোরের সদরের যশোর-মাগুরা মহাসড়কের হাশিমপুর বাজারে এক চায়ের দোকানে বসে গল্প করার সময় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলী চালিয়ে হত্যা করে।

পারিবারিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনসার ব্যাটালিয়নের বিশেষ সদস্য পদে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন হোসেন আলী তরফদার। তিন দিনের ছুটিতে তিনি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে। হোসেন আলী তরফদার ১৯৯৯ সালের ৭ জুন যশোর টাউন হল ময়দানে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করার আগে পর্যন্ত চরমপন্থী ক্যাডার ছিলেন। আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের সরকারের পুনর্বাসনের আওতায় তার চাকরি হয় আনসার বাহিনীতে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সকালে হোসেন আলী তরফদার বাড়ি থেকে হাশিমপুর বাজারে আসেন। বেলা ১১ টার দিকে তিনি বাজারে মোশাররফের চায়ের দোকানের সামনে যান। এ সময় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে তাকে লক্ষ্য করে ৪/৫টি গুলি ছুড়ে বীরদর্পে এলাকা ত্যাগ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বাজার হয়ে পড়ে অনেকটা জনশূন্য। হোসেন আলীর লাশ বাজারের রাস্তার পাশেই পড়ে ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ বেড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। হোসেন আলী তরফদারের ভাইপো সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমার চাচা হোসেন আলী তরফদার ঢাকার মিরপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনদিন আগে ছুটিতে তিনি বড়িতে এসেছেন। সকালে যশোর সদরের ভেকুটিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আমরা জানতে পারি চাচা হাশিমপুর বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম পিপিএম, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সূত্র জানায়, চরমপন্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করানোর উদ্যোগ নেন। তখন হোসেন আলী আত্মসমর্পণ করেন। পুনর্বাসনের জন্য তাকে আনসার ব্যাটালিয়নের বিশেষ সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আগের কোনো শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ