Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে সবুজ আন্দোলন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে একটি মানবন্ধনে এ দাবি করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার।
তিনি বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা প্রথমে পাউডারে বিচ‚র্ণ করা হয়। চক্রের কনভেয়র যা পরবর্তীতে বয়লারে যাওয়ার আগে পালভারাইজড হয়। পিসিসি সিস্টেমের কম্বাশন চেম্বার হয়ে বয়লারে উচ্চতাপে পোড়ানাে হয়।

সভাপতি বলেন, এখানে চিমনি হয়ে কয়লা পোড়ার ধোঁয়া বের হবে আর ভস্মীভ‚ত ছাই নিচ দিয়ে নির্গত হয়। অন্যদিকে পানি থেকে রূপান্তরিত বাষ্প টার্বাইনে উচ্চচাপে প্রবেশ করে, যেখানে হাজার প্রােপেলারকে সে হাইস্ডিডে ঘোরাতে থাকে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এই বাষ্প টার্বাইন থেকে আবার কনডেনসারে কন্ডেন্সড হয়ে আবার বয়লারে যায় আরেকবার ব্যবহৃত হতে। এই সহজ চক্রে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো তার উৎপাদন চক্র শেষ করে। এইখানে পরিবেশ দ‚ষণের উপাদান নির্গত হয় চিমনি দিয়ে, নির্গত পানির সাথে এবং ভস্মীভ‚ত ছাই হিসেবে, যা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এইখানে উল্লেখ্য পানি বিশুদ্ধিকরণের জন্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানাে হলেও আমাদের জানা মতে দুনিয়াজুড়ে চিমনি দিয়ে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ার কোন প্রকার ট্রিটমেন্ট করা হয় না।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার করছে। ২০১৮ সালে সারাবিশ্বের মােট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮৫% চীন ও ভারতে নির্মিত হয়েছে। আমাদের সরকার চীন ও ভারতের প্ররােচনায় তাদের সাথে যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, যা দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনবে। চীন ও ভারত নিজেরাও বর্তমানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যথেষ্ট কমিয়ে দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে প্যারিস চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য হন সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ প্রয়ােগ করতে আমরা বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানাই।

তাই আমরা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক ও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শ‚ন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সকল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হােক। জলবায়ু সংকটের কারণে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্থ রাষ্ট্রগুলোকে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মানবন্ধন সমাবেশে রাখেন, সবুজ আন্দোলন সংগঠনের অন্তর্জাতিক পরিচালক মো. মোাবারক হােসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি ড. রুহুল আমিন চৌধুরী, ড. মোায়াজ্জেম হােসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুগ সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, নারী ও শিশু সম্পাদক রিমা সরদার প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ