পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছারছীনা দরবার শরীফের ১২৯তম মাহফিলের গতকাল প্রথম দিনে বাদ জুমা বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেবের বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন বলেন, আমরা দলীয় রাজনীতি করি না। কিন্তু দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে ইসলামের খেদমত করি। যা আমাদের পূর্বপুরুষগণ আল্লামা শাহ্সূফি নেছারুদ্দীন আহমদ (রহ.) ও মুজাদ্দিদে যামান শাহ্সূফি আবু জাফর ছালেহ (রহ.) করে গেছেন। তারা ইসলামের ক্ষেত্রে কোনদিন পিছপা হননি। এদেশের শতকরা ৯৫% লোক মুসলমান অথচ এদেশে যখন তখন একদল বিধর্মী ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করে।
তিনি সরকারের কাছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুইটি ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর পক্ষে দুইটি দাবি জানান। দাবি দুটি হচ্ছেÑ কেউ যাতে কোন ধর্মের প্রতি আঘাত হানতে না পারে সে জন্যে বøাসফেমি আইন যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐ রেখে আইন পাশ করা এবং প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়ে একসাথে লেখাপড়া করার কারণে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীলতা লক্ষ্য করা যায়, এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে পৃথক করা।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি মাহফিলে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমান সরকার আলেম ওলামাদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আলেম ওলামাদেরকে সরকারি খরচে পবিত্র হজ করতে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের এক পঞ্চমাংশ মানুষ মাদরাসা থেকে পাশ করে। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চ স্তরে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন মাস্টার্সের সমমান দিয়ে। যার ফলে এখন মাদরাসা থেকে পাশ করে বিসিএস দিয়ে ছাত্ররা ডিসি-এসপি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান সরকার দেশে ৫৬০টি পাঁচতলা বিশিষ্ট মাদরাসা তৈরির কাজ শুরু করেছে এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ তৈরি করছে।
মন্ত্রী ছারছীনার বড় ছাহেবজাদার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন কোরআন-হাদিসের পরিপন্থী কোন আইন পাশ করবেন না। আমি সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌঁছে দেবো। তিনি মাহফিলে আগত মুসল্লিদেরকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, কোন মানুষ যদি পরিপূর্ণ কোরআন-সুন্নাহর সঠিক অনুসরণ করে তাহলে কেউ জঙ্গি বা সন্ত্রাসে পরিণত হতে পারে না। কেউ মাদক কারবারি, দখলবাজি, চরিত্রহীন হতে পারে না। হযরত পীর ছাহেব দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করেন।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেনÑ অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দল্লাহ আল মামুন, স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির প্রমূখ।
আজ মাহফিলের দ্বিতীয় দিন। আগামীকাল বাদ জোহর হযরত পীর ছাহেব দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে তিন দিনব্যাপী মাহফিলের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।