পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নিয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে চরমোনাই দরবার শরীফের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিলের সমাপ্তি হয়েছে গতকাল সকালে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর ছাহেব চরমোনাই বাদ ফজর বয়ানের পরে সমবেত মুসল্লিদের নিয়ে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। গত মঙ্গলবার বাদ জোহর বয়ানের মাধ্যমে পীর ছাহেব চরমোনাই এ মাহফিলের সূচনা করেছিলেন।
এবারের মাহফিলের শেষ বয়ানে পীর ছাহেব চরমোনাই বলেন, নামাজ যেমন একজন মুসলমানের জন্য ফরজ, ইসলামী রাজনীতিও তেমন ফরজ। রাজনীতি এখন কিছু লোকের পুঁজিতে পরিণত হয়েছে। রাজনীতি করে একদল মানুষ কলাগাছ নয় বরং রাতারাতি বটগাছ বনে গেছে। এই রাজনীতির জন্য পীর ছাহেব চরমোনাই (রহ.) এর নামে ১৮টি মামলা হয়েছে। কিন্তু তিনি হকের আওয়াজ তোলা থেকে বিরত হননি।
পীর ছাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আদর্শ বিসর্জন দিয়ে রাজনীতি নয় বরং আদর্শকে আঁকড়ে ধরে ইবাদাতের রাজনীতি করে। আল্লাহ ও রাসূলের নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
পীর ছাহেব চরমোনাই বলেন, একদল আলেম নিজেদের দুর্বলতাকে ঢেকে রাখার জন্য অন্যের সমালোচনা করে। আমি কুরআন হাদীসের ওপর চলার চেষ্টা করে আপনাদেরকেও কুরআন হাদীসের নির্দেশিত পথে চলতে আহবান করি। তারপরেও যদি আপনারা দেখেন আমি কুরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে চলতে বলি তবে তা আমাকে দেখিয়ে দিলে সংশোধন করে নেব।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর ছাহেব চরমোনাই আখেরি মোনাজাতে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক কল্যাণ ও রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, কাশ্মীরসহ নির্যাতিত মুসলমানদের মুক্তির জন্যও বিশেষভাবে দোয়া করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।