পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাদিয়ানীরা মুসলমানদের মধ্যে ফেৎনা সৃষ্টি করছে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদে কাদিয়ানীদের অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করতে হবে। তাদের সকল প্রকার ইসলাম বিদ্বেষী প্রকাশনা ও প্রচারণা নিষিদ্ধ বলে আইন পাশ করতে হবে। কথিত দাওয়াতি কর্মকান্ড এবং ইসলামী সকল পরিভাষা ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। গতকাল শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ আয়োজিত খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনে সভাপতিত্বের বক্তব্যে সংগঠনের আমির ও মধুপুর পীর সাহেব হযরত মাওলানা আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন।
মহাসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ঢালকানগরের পীর সাহেব মাওলানা জাফর আহমদ, আন্তর্জাতিক তাহফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মিজানুর রহমান, মুফতি আবু বকুর ভারত, খেলাফত আন্দোলন (জাফরুল্লাহ খান) এর আমীর মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, আমরা ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি আলহাজ শামসুল হক, মহাসচিব আলহাজ জামাল নাসের চৌধুরী, খতমে নবুওয়ত আন্দোলনের আমীর মাওলানা নূর হোসেন নূরানী, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম, সংগঠনের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ইমাদুদ্দীন, ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রশিদ আহমদ, মাওলানা এবিএম মহিউদ্দিন হোসাইনী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ নূরুদ্দিন সিকদার। মহাসম্মেলন পরিচালনা করেন মাওলানা আবুল হাসান, মাওলানা আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী।
মধুপুর পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আলেম ওমাদের সম্মান করেছেন। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে নবী (সা.) ইজ্জতকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, কাদিয়ানীরা কাফের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার লক্ষ্যে মধুপুর পীর সাহেব সবাইকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শরীক হবার অনুরোধ জানান। মধুপুর পীর সাহেব বলেন, কাদিয়ানীরা রাসূল (সা.) কে শেষ নবী হিসেবে মানে না। তিনি বলেন, ঈমান নিয়ে বাঁচতে হলে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, কাদিয়ানীরা ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরা দেশের ও মুসলমানদের শত্রু। সউদীসহ বিভিন্ন দেশ কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে। তিনি অবিলম্বে জাতীয় সংসদে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।