Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাবিতে স্থপতি রবিউল হুসাইনের নামাজে জানাজা

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে একুশে পদকজয়ী কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা শেষে তার মরদেশ ঢাবিতে নিয়ে আসা হয়। এরআগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার মরদেহের কফিন শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে তার মরদেহে ফুলের শুভেচ্ছা জানান সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তার বিশেষ সহকারি বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। এরপর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, স্থপতি রবিউল হুসাইন দেশের সকল গ্রগতিশীল আন্দোলনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সাথে ছিলেন, তাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। আমরা তাকে অসময়ে হারালাম। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমরা এক গুনীজনকে হারালাম। তিনি একজন বহুমাত্রিক মানুষ ছিলেন। তার এই চলে যাওয়াকে আমরা মেনে নিতে পারছি না। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থাপনার মধ্যে এবং তার বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে তিনি পরিচিত হয়ে থাকবেন।

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, স্থপতি রবিউল হুসাইন একজন বহুমাত্রিক মানুষ ছিলেন, ছিলেন নিরহংকারী। তাঁর বহুমুখী কাজের মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের মাঝে পরিচিত হয়ে থাকবেন। তিনি আমাদের সাথে সকল প্রগতিশীল আন্দোলনে ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমুন্নত রাখার জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। এছাড়া তিনি সকল ধরণের সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে থেকে প্রেরণা জুগিয়েছেন আমাদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, রবিউল হুসাইন বাংলাদেশে সত্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণের সকল উদ্যোগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এদেশের প্রগতিশীল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এক অপূরণীয় শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। অসাধারণ স্থাপত্য ও সাহিত্য কর্মের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান বলেন, রবিউল হুসাইন কবি হিসেবে বিশিষ্টজন ছিলেন, তার নিজের যে বিদ্যা, স্থাপত্যবিদ্যা, সেখানেও তার একটা ভুমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে রবিউল হুসাইন সবসময় চলেছেন। ঢাবিতে জানাজা শেষে তার কফিন নেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। সেখান থেকে রবিউল হুসাইনকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ