পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকায় মুরাদ বেপারী (৩২) নামের পুলিশের এক সোর্সকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় কয়েকদিন আগে ওই তিনজনকে পুলিশে ধরিয়ে দেন মুরাদ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জেল থেকে বেড়িয়ে মুরাদকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা।
নিহতের স্বজনরা বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন বেপারীর ছেলে মুরাদ। বর্তমানে স্ত্রী ময়না আক্তার ও একমাত্র ছেলে কাউসারকে (৮) নিয়ে খিলগাঁও জামতলা বগবাড়ি ১৩/০৮ নম্বর বাসায় থাকতেন। ১৬/১৭ বছর ধরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।
নিহত মুরাদের ভাগিনা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে মুরাদ থানায় কাজ শেষ করে একাই পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিল। পথে সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পাশে স্থানীয় মাদক ব্যাবসায়ী মিন্টুসহ কয়েকজন তাকে ধরে পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে নিয়ে যায়। সেখানে তারা হাতুড়ি, রড, বাঁশ দিয়ে মুরাদকে বেধরক পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
খিলগাও থানার ওসি মো. মশিউর রহমান বলেন, মুরাদ পুলিশের সোর্সের কাজ করতেন। মাদক ব্যবসার অভিযোগে কয়েকদিন আগে এলাকার মিন্টু, মিলন, সোহেলকে ধরিয়ে দেয়। এরপর থেকেই মুরাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল তারা। তার জের ধরেই তারা মুরাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। রাতেই ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অভিযুক্ত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এছাড়া গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগে বলেন, মুরাদ বেপারী পুলিশের সোর্স হিসেবে বিভিন্ন সময়ে মানুষদের হয়রানি করাসহ বিনা কারণে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পুলিশের সোর্সের আড়ালে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।