Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

উত্তরাঞ্চলে পেট্রল পাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভ‚মির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, প্রচলিত হারে কমিশনসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক এবং শ্রমিক ঐক্য পরিষদ পয়লা ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানুর রহমান রতন দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। এ সংগঠনের খুলনা ও রংপুর বিভাগীয় কমিটিও আলাদাভাবে এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেবে বলে রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

১৫ দফা দাবির মধ্যে বলা হয়, জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানÑ বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক-লরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল।

এছাড়া, পেট্রল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রল পাম্পের প্রবেশদ্বারে ভ‚মির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এছাড়া দাবিতে আরো বলা হয়, ট্যাংক-লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতীত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রল পাম্পের পাশে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক-লরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সরকারের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে শুধু মৌখিক আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। অলাভজনক খাতে পরিণত হওয়ার কথা তুলে সংগঠনের নেতারা জানান, এ অবস্থায় পাম্প পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মোমিন দুলাল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এ আর এম খোরশেদ আলম লিটন, আব্দুল করিম, জাহিদুর রহমান, এ বি এম সিদ্দিক, উত্তরবঙ্গ ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন বাঘাবাড়ী ঘাট শাখার কার্যকরী সভাপতি আজিজুর রহমান গ্যাদা, সাংগাঠনিক সম্পাদক আজমত মোল্লা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ