পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরা থেকে লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ভুয়া এমএলএম কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ২৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের হেফাজত থেকে ১০১ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাতে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ওইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ নথিপত্র জব্দ করা হয়।
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. নজরুল ইসলাম, মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিপুল চৌধুরী, সালমান ফারসি, মো. সেলিম রেজা, মো. খায়রুজ্জামান টিটু, মো. আলী আকবর, সুজন মিয়া, মো. কামরুল আহসান, মো. রুহুল আমিন, মো. সুমন মুন্সী, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম যাদু, মো. আল আমিন, মো. মোবারক হোসেন, মো. মাহাবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, মো. মাইদুল ইসলাম, মো. সোহাগ, রাকিব শেখ ও মো. সাদ্দাম হোসেন।
গতকাল বিকেলে র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতারিত ও ভ‚ক্তভোগী কয়েক জনের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং অনুসন্ধানে প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার ১০নং সেক্টরের ৭নং রোড হতে লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এমএলএম কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের ২৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও জব্দকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে ভুয়া এমএলএম কোম্পানি মাসিক ১৬ হাজার ও তদুর্ধ্ব টাকা বেতনের প্রতিশ্রæতিসহ লোভনীয় অফার দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীদের ফাঁদে ফেলে। শুরুতে কোম্পানির আর্থিক লাভ ও পণ্য বিক্রির কমিশনের আশ্বাসে বাধ্যতামূলক জামানত হিসাবে জনপ্রতি ৫৫ হাজার বা তদুর্ধ্ব টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের নামে সপ্তাহখানেক কালক্ষেপণ করে প্রত্যেককে নতুন ২ জন সদস্য সংগ্রহের শর্ত প্রদান করে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকার সামান্য কমিশন প্রদান করে। নতুন সদস্য দিতে না পারলে ক‚ট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি ষ্ট্যাম্প ও আপসনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করে থাকে।
অভিযানে ভুয়া এমএলএম কোম্পানির প্রশিক্ষণের নামে সেমিনার কক্ষ হতে প্রতারণার শিকার ১০১ জন ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।