পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার আবুল খায়ের ভূইয়া নামের এক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করা, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করার জন্য তিনি এই আবেদন করেন। তাকে যেন পারিবারিক ও সামাজিকভাবে দাফন করা হয় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়া হয়েছে। আবুল খায়ের ভূইয়া উপজেলা সদরের মুন্সীপাড়া এলাকার মৃত ছালামতুল্লাহর ছেলে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৬ নং সেক্টরে অধীনে একটি কোম্পানীর কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীকে দেবীগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করে দেবীগঞ্জ মুক্ত হয়। ওই দিন বিকেলে চারায় আনসার অফিসের সামনে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ৩১ বার তোপধ্বনির পর স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
লিখিত এই আবেদনে তিনি বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। এর মধ্যে ৪৩ জনই ভূয়া। ২০১২ সাল থেকে এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি। বহু আন্দোলন সংগ্রামের পর তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের সহযোগিতায় ২০০৯ সালে প্রথম দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তার নেতৃত্বে দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে মূল উদ্যোক্তাকে অবমূল্যায়ন করে নামধারী মুক্তিযোদ্ধারা নামমাত্র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন করছে।
তিনি দু:খ করে বলেন, যেখানে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জিম্মি সেখানে মৃত্যুর পর একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দাফন কাফনে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। তাই মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখান করছি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার স্বদেশ চন্দ্র রায় বলেন, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা কে এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব অভিযোগকারীর। যদি ভূয়া কেউ থাকেন তাহলে তিনিই তাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভ‚ইয়া মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান চান না মর্মে আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।