পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বামীর পাশে শায়িত হতে পারলেন না ছবুরা খাতুন (৯৮)। প্রভাবশালীদের অমানবিকতা তাকে তাড়িত করলো মৃত্যুর পরেও। অমানবিকতার চরম এই নিদর্শন দেখা গেলো আনোয়ারার চাতরী ইউনিয়নের মাজমবাড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।
জানা যায়, চাতরী ইউনিয়নের মাজমবাড়ি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মৃত ছিদ্দিক আহমদের স্ত্রী ছবুরা খাতুন (৯৮) দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত রোববার রাত ৯টা পনের মিনিটে মারা যান। পারিবারিক ও সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের অনুমতিক্রমে স্বামীর কবরের পাশে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা বাড়ি থেকে লাশ নিয়ে জানাজা নামাজের জন্য মসজিদ মাঠে পৌঁছালে খবর আসে এলাকার প্রভাবশালী এসকান্দর, আনোয়ার হোসেন ও নুরুল আবছার কবর ভরাট করে দিয়েছে। অবশেষে তারা বাধ্য হয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অন্য একটি কবরস্থানে লাশ দাফন করেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই অমানবিকতায় হতবাক হয়ে পড়েন এবং এলাকার তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ছবুরা খাতুনের ছেলে আহমদ কবির বলেন, এই কবরস্থানে আমাদের কোন জায়গা নেই। আমার বাবার মৃত্যুর পর সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় আমার বাবাকে এ কবরস্থানে দাফন করি। এখন আমার মা যখন মারা গেছে সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের অনুমতি নিয়ে কবরস্থানে দাফন করার ব্যবস্থা করি। রাতে যখন সবাই কবর তৈরী করে তখনও কেউ কোনো বাধা দেননি। সকালে লাশ নিয়ে জানাজার মাঠে আসলে এরা এসকান্দর ও তার ভাইরা এসে কবরটি ভরাট করে দেয়।
এব্যাপারে জানতে এসকান্দরের মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চাতরী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের অনুমতিক্রমে মাজমবাড়ি এলাকার কবরস্থানে কবর খনন করা হয়। সবাই যখন লাশ নিয়ে জানাজা মাঠে উপস্থিত হলে অন্যদিকে অসামাজিক ব্যক্তি এসকান্দর ও তার ভাইরা মিলে করবটি ভরাট করে দেয়। পরে এলাকাবাসীর সম্মতিক্রমে অন্য একটি স্থানে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।