Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ

আ.লীগের অঙ্গসংগঠন হচ্ছে মৎস্যজীবী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

 আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগের সম্মেলন নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও একবারেই আলোচনা নেই মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন নিয়ে। আগমী ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থান জানান দিতে চায় কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হতে যাচ্ছে মৎস্যজীবী লীগ এমন আলোচনা রয়েছে। সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতির মাধ্যমে দলের অঙ্গ সংগঠন অথবা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে মৎস্যজীবী লীগ।
সংগঠনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন-অর-রশীদ ইনকিলাবকে বলেন, মৎস্যজীবী লীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন নয়। কিছু ত্যাগী নেতাকর্মীর প্রচেষ্টায় নানা সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে সংগঠনটি এ পর্যন্ত এসেছে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহি কমিটির বৈঠকে মৎসজীবী লী কে সহযোগী সংগঠন করার বিষয়ে কথা হয়েছ। জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে মৎস্যজীবী লীগ দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে।
২০০৪ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর পর বেশ কয়েকবার নেতৃত্বের পালাবদল হয়েছে সংগঠনটিতে। এই পালাবদল কেন্দ্র করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নানা গ্রুপে ভাগও হয়েছেন কয়েকবার। এমনকি মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কেÑ এটি নিয়েও তারা এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।
গত ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এ সম্মেলন হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
ফলে মৎস্যজীবী লীগে আওয়ামী লীগ সভাপতির সুনজর পড়ায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ নড়েচড়ে বসেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে চলছে তাদের দৌড়ঝাঁপ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। জানা গেছে, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তিদের মৎস্যজীবী লীগের শীর্ষপদে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন শেখ হাসিনা
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নাম আলোচনায় রয়েছে। সভাপতি পদে মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণচন্দ্র চন্দ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশার, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদসহ বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে সংগঠনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. রেদওয়ান খান বোরহান, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহজাহান আলী গোলদারসহ বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় রয়েছে।
সম্মেলনের বিষয়ে সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশীদ ইনকিলাবকে বলেন, সম্মেলন সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তিনি আরো বলেন, মৎসজীবী লীগ এবার গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।
মৎস্যজীবীদের অধিকার আদায়ে ও মৎস্যসম্পদ বিকাশে অবদান রাখার জন্য সংগঠনটির সৃষ্টি। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কেবল দিবসভিত্তিক কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ সংগঠনটি। চাঁদপুর ছাড়া অন্য কোথাও মৎস্যজীবী ও মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা নিয়ে কোনো সভা- সেমিনার বা সমাবেশ হয়নি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও মৎস্যজীবী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান খান বোরহান ইনকিলাবকে বলেন, ইলিশ সুরক্ষায় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগ একাধিক সভা-সমাবেশ ও সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করেছে। মৎস সম্পদের সুরক্ষা ও মৎসজীবীদের অধিকার সংরক্ষণের জন্যই মৎসজীবী লীগের সৃষ্টি। সরকার ইলিশ সংরক্ষণে যে উদ্যোগ নিয়েছিলো তা বাস্তবায়নে মৎসজীবী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই এই সংগঠনকে শক্তিশালী ও সু-সংগঠিত করা সময়ের দাবি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ