পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসুস্থ হওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে রিমান্ডে নিতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে গতকাল রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিলো। গত শনিবার রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কার্ডিয়াক ইমারজেন্সিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-২ এ স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
দুদক ও কারা সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফেরত যাওয়ার পর স¤্রাটকে দুদকে আনা হবে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ নভেম্বর সম্রাটের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সূত্র জানায়, সম্রাটের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলেও সুনির্দিষ্টভাবে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার ওপর ভিত্তি করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়। ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সম্রাটের বিপুল সম্পদের তথ্য উদ্ধারে চেষ্টা করবে সংস্থাটি।
কাশিমপুর কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান বলেন, সম্রাটের হার্টের সমস্যা দেখা দিলে গত শনিবার রাতে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুদকের একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অসুস্থতার কারণে গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে সম্রাটকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। গতকাল রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার কথা ছিল।
রাজধানীর ক্যাসিনো ও অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স¤্রাট দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন। রাজনৈতিক পরিচয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় অপরাধ জগতের অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর আবার আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। তাকে ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রক মনে করা হচ্ছিল। অভিযানের শুরুতে কয়েক দিন কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকলেও পরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদÐ দেন। অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলাও করা হয়। দুই মামলায় সম্রাটকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।