পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমরা হয়তো আজই সবাইকে ধরতে পারব না। তবে প্রতিকারমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সবার মাঝে একটি বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছি। আজ হোক কাল হোক সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। দুদকে অনেককে আসতে হচ্ছে, অনেককেই আসতে হবে। দুর্নীতি দমনে সমন্বিত অঙ্গীকারের প্রয়োজন। কর্ম প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু কর্মপ্রক্রিয়ার পরিবর্তন সুশাসনের জন্য সত্যিই অন্তরায়।
গতকাল রোববার দুদক কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এর গভর্নেন্স টিম লিডার এইজলিন বাকেরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের অভিযোগকেন্দ্রের হটলাইন-১০৬-এ লাখ লাখ অভিযোগ আসছে। অধিকাংশ অভিযোগ হয়তো কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তারপরও মানুষ তাদের অভিযোগ জানানোর একটি প্ল্যাটফরম পেয়েছে। তারা তাদের কথা জানাতে পারছে। কমিশন থেকেও যতটা সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রতিনিধি দলের এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-পদোন্নতি-পদায়নে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না করা গেলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। শিক্ষকদের অনেক সময় সরকারি অন্যান্য কাজে সম্পৃক্ত করে তাদের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট করা হচ্ছে। শিক্ষকদের অন্য কাজে ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তাদের ডিজিটাল উপস্থিতির ব্যবস্থা করার কথা সরকারকে বলেছি। মানসম্মত শিক্ষা না হলে সক্ষম মানবসম্পদ সৃষ্টি করা যাবে না। নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানেরা যেন শুধু জিপিএ-৫ এর দিকে না ছুটে, নৈতিক মূল্যবোধের দিকেও ছুটে। মূল্যবোধহীন উন্নয়ন কোনো কাজে লাগে না।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন শিক্ষাসহ ২৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রক্রিয়াগত সংস্কারের জন্য সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে এ জাতীয় ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করা হয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, পুলিশের সাথে কমিশনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশের যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এসব তদন্তে পুলিশের তরফ থেকে সহযোগিতার কোনো ঘটতি নেই। শুধু পুলিশ নয়-প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হয়। বলতে গেলে সব সেক্টরেই কাউকে না কাউকে আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ সময় ডিএফআইডির গভর্নেন্স অ্যাডভাইজর তানভীর মাহমুদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।