জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি হবে আজ।
গত রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের কার্যতালিকায় বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনটি ২৮ নাম্বারে ছিল। এর আগে গত ১৭ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়।
২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদদ্ড দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারবন্দি করা হয়। পরবর্তীকালে আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়। পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। সে আবেদন এখনও আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। পরে গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দÐের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদন্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দ করার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন। এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরবর্তীকালে ১১ সেপ্টেম্বর ফের জামিন আবেদন ফেরত দেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।