পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ জনের তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে আজ (সোমবার)। গতকাল রোববার এ প্রতিবেদন চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। এ সময় সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি হলেন, মো. আব্দুর রশিদ মিয়া (৬৬) এবং মো. সাহেব আলী মালিথা (৬৮)। আরেকজন আসামির নাম প্রকাশ করা হয়নি। আব্দুর রশিদ হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি। এদের মধ্যে প্রথমোক্ত দু’জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত জানিয়ে সংস্থার কর্মকর্তারা বলেন, মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দিসহ তিনটি ভলিউমে ৭৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পরদিনই আব্দুর রশিদ মিয়া ও সাহেব আলী মালিথাকে গ্রেফতার করে ঝিনাইদহ পুলিশ।
আব্দুল হান্নান খান আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করে বলেন, আসামি মো. আব্দুর রশিদ মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কৃষক সংগ্রাম সমিতির হলিধানী ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে এ পার্টির পরোক্ষ সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং ১৯৮৮ হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে এ আসামি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হলিধানী ইউনিয়ন সভাপতি হন। এখন পর্যন্ত তিনি ওই পদে আছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আব্দুর রশিদ মিয়া আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মো. সাহেব আলী মালিথা একাত্তরে জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও গ্রেফতারের আগ-পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মামলা-তদন্তের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে এম. সানাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, এ তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ জুন তদন্ত শুরু হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য প্রমাণ তদন্তে উঠে এসেছে। এসব অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সানাউল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা ঝিনাইদহ জেলার সদর ও হালিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামে এসব অপরাধ সংঘটিত করে।
প্রথম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১৭ জুন মো. আব্দুর রশিদ মিয়ার নেতৃত্বে সহযোগী সাহেব আলী মালিথা ও পলাতক আসামিসহ ১০ থেকে ১৫ জন রাজাকার কোলা গ্রামে শহীদ আজিবর মন্ডলদের বাড়ি আক্রমণ করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দিন মন্ডল ও আসির উদ্দিন মন্ডলকে না পেয়ে তাদের তিন ভাই আজিবর, হবিবুর রহমান মন্ডল ওরফে হাবা মন্ডল ও আনছার মন্ডলকে আটক ও মারধর করে। পরে তাদের পিঠমোড়া করে বেঁধে ঝিনাইদহ শহরের দিকে নিয়ে যাওয়ার পর মাগুরা রোডের ধোপাঘাটা ব্রিজের ওপর গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয় আসামিরা।
দ্বিতীয় অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ২৪ জুন আসামিরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী কোলা গ্রামের নিরীহ ও নিরস্ত্র মুলুক চাঁনকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তার আর সন্ধান মেলেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।