পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন মিয়ানমারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে চীন একটি রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কৌশল সন্ধান’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট।
পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক শরীফ শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। লিখিত প্রবন্ধে তিনি বলেন, আমরা চাই রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে স্বদেশে ফিরে যাক। গত দুই বছর ধরে এ কথা বললেও দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো একজন রোহিঙ্গাও স্বদেশে ফিরে যেতে পারেননি। রিয়াজুল হক বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের উচিত, দ্রুত মিয়ানামারে একটি অনুসন্ধানী দল পাঠানো। যারা সেখানকার রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঠিক চিত্র তুলে ধরবেন। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে একটি নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তুলতে হবে। যেন রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন ও পরবর্তী সময়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, স¤প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার চীনের বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু এ ইস্যুতে চীন পুরোপুরি নিরপেক্ষ। বিগত দুই বছর ধরেই চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন সক্রিয় ও উদ্বিগ্ন। এ ইস্যুর সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সম্পৃক্ত। দু’টি দেশই সার্বভৌম। তাই চীন কাউকে চাপ প্রয়োগ করতে পারে না।
সেমিনারে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর’র স্থানীয় প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস বলেন, আমি আমার দীর্ঘ কর্মজীবনে এমন অবর্ণনীয় দুর্দশাগ্রস্ত শরণার্থী শিবির দেখিনি। যেটি দেখেছি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে। বাধ্য হয়েই নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা সেখানে বসবাস করছে। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের শতকরা ৯৭ জনই স্বদেশে ফিরে যেতে চান। তবে এর জন্য তারা নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও চান। আর তাদের এ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।