পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশাসনিক নিয়মের দোহাই দিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইসলামী ঐতিহ্য ভঙ্গ করা হচ্ছে। ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের পাঁয়তারা চরম আকার ধারণ করেছে। মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল করা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তি ও নারীদের। যা বিশেষায়িত ধর্মীয় ভাবাপন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য মোটেও কল্যাণবহ নয়। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দী উপজেলার নাড়–য়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ি দাখিল মাদরাসা সুপারের দায়িত্বভার পেয়েছেন উত্তম কুমার গোস্বামী নামে এক সরকারি শিক্ষক। তিনি হিন্দু সংগঠনের একজন নেতা।
মাদরাসার সুপার অবসরে যাওয়ায় নতুন সুপার নিয়োগের আগ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে ম্যানেজিং কমিটি উত্তম কুমার গোস্বামীকে মাদরাসার সুপারের দায়িত্ব দেয়ায় সারাদেশে উদ্বেগ লক্ষ করা গেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়সার মিডিয়াকে বলেছেন, সহকারী সুপার প্রার্থী হওয়ায় উত্তম কুমার গোস্বামীকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আমরা আশা করছি, তিনি নিষ্ঠার সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন। দেশের ওলামা-মাশায়েখগণ গভীর উদ্বেগের সাথে এ বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। তারা ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূল দায়িত্বে একজন অমুসলিমের নিয়োগকে ইসলামী শিক্ষার বিনাশ সাধনের ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন। গতকাল এক বিবৃতিতে ইমাম খতিব ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
পরিষদের সভাপতি আলহাজ মাওলানা হাফিজ উদ্দীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মাদরাসার শিক্ষার স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য ধ্বংসে মন্ত্রণালয়ের একটি চক্র নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চপদেও অন্য ধর্মের লোকজন নিযুক্ত আছেন। অথচ বিশেষায়িত এসব প্রতিষ্ঠানে সবসময় ইসলামী ব্যক্তিত্ব বা আলেম-ওলামা নিয়োগ পাওয়ার কথা।
উত্তম কুমার একজন সহকারী শিক্ষক হলেও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ রাজবাড়ী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
এমন একজন নেতৃস্থানীয় হিন্দু সংগঠককে একটি মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নিয়োগ কতটা যৌক্তিক তা সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষা কর্মকর্তার মন্তব্য খুবই আপত্তিজনক। আশা করি, দায়িত্বশীলেরা ইসলামী শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেবেন না। দেশের ইসলামী শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহলকে এ বিষয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহŸান জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।