পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটা উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে সরকার দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) : রূপকল্প ২০৪১-এর বাস্তবায়ন শীর্ষক উপস্থাপনা দেখার আগে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দ্রুত কিছু কাজ করতে হচ্ছিল। এ জন্য আশু করণীয় ঠিক করলাম। এরপর আমরা পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সেটা বাস্তবায়ন শুরু করেছিলাম। সেই সাথে একটা দীর্ঘমেয়াদি যেমন ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেটা বাস্তবায়ন শুরু করি।
শেখ হাসিনা বলেন, পরবর্তীতে আমাদের যেটা ছিল আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটা উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। সেই লক্ষ্যটা অর্জনের জন্য আমাদের যেহেতু প্রথম ধাপের যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এর দ্বিতীয়টা আমরা এখন বাস্তবায়ন করছি- এটা হচ্ছে ২০২১ থেকে ২০৪১। ইনশাল্লাহ আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা এগিয়ে যেতে পারব।
অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তৃতায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার একটি স্বপ্নের দলিল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ সাল থেকে শুরু করে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। সিনিয়র সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম একটি পাওয়া পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার অনোয়ারুল ইসলাম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।