পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে শিশুদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য আরও অনেক বেশি উন্মুক্ত মাঠ রাখার ওপর জোর দিয়েছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। গুলশানের পুরনো ওয়ান্ডারল্যান্ডের জায়গায় শিশুদের জন্য বহুমুখী খেলার মাঠ গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেইসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে রাদওয়ান লিখেছেন, কেন পুরাতন ওয়ান্ডারল্যান্ড একটি উন্মুক্ত খেলাধুলার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারবে না? পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে শিশুরা ভিড় করছে, খেলছে। একইভাবে তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে (জিওয়াইসি)। সেখানে যে কোনো মওসুমের উপযোগী বহুমুখী পিচ তৈরি করুন এবং শিশুদের খেলতে দিন।
উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তির পর ২০১২ সালে ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যামিউসমেন্ট পার্ক ভেঙে দেয় রাউজক। এরপর সেখানে পাবলিক পার্ক নির্মাণের নির্দেশনা আসে আদালত থেকে। গুলশান কেন্দ্রীয় পার্কের কিছু অংশ ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ১৯৯০ সালে ওয়ান্ডারল্যান্ড চিলড্রেন পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করে মেসার্স ভায়া মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ১৯৯৫ সালের এক রিট আবেদনে উচ্চ আদালত ওয়ান্ডারল্যান্ডের ইজারা অবৈধ ঘোষণা করে পার্কের যাবতীয় স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। এরপর সেখানে ২০১২ সালে উচ্ছেদ অভিযান চলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি গবেষণার ফলাফল থেকে উদ্ধৃত করে গতকাল আরেক পোস্টে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, বিশ্বে শারীরিকভাবে সবচাইতে সক্রিয় শিশুদের তালিকায় বাংলাদেশের শিশুরা রয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিবেদন এটাও বলছে- এ দেশে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জন শিশু দিনে এক ঘণ্টাও শারীরিক ব্যায়ামের সুযোগ পায় না।
সিআরআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক নিজে নিয়মিত ফুটবল খেলেন। খেলাধুলার প্রতি তার রয়েছে অপরিসীম ভালোবাসা। অভিভাবকদের প্রতি তার আহ্বান, আপনার সন্তানের মাথায় শুধু পড়ালেখার বোঝা চাপাবেন না। তাদের শারীরিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠতে দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ’মিনি স্টেডিয়াম’ নির্মাণের উদ্যোগের কথাও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।