পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশে শতভাগ সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনায় জাপান সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের মতো টাউনশিপ করতেও দেশটি সহযোগিতা করবে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব তিনি কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে জাপান, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যেসব বিষয়ে সমস্যা রয়েছে সেখানেও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে তারা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর সরকার, পানি ব্যবস্থাপনা, মাতারবাড়ি, মহেশখালীর মতো বড় প্রকল্পে জাপানের বিনিয়োগ রয়েছে। আমার গ্রাম আমার শহর’র বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি, তারা আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় যেমন বাড়ছে, মাথাপিছু বর্জ্যও বাড়ছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে দেখতে হচ্ছে। নাহলে খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার আরেও উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য জাপানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রযুক্তি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির সরকার।
আমরা জাপানের বর্জ্য ব্যবস্থপনা দেখে একসঙ্গে কাজ করবো। ঢাকা শহরে ধুলাবালি বাড়ছে, সিটি করপোরেশন সে বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছে না কেন- এ প্রশ্নের জবাবে সমবায়মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটালে ড্রেনে যাবে, ড্রেনে ময়লা জমবে। কিন্তু, আমরা এই কাজটি এমনভাবে করতে চাই যেখানে ধুলাবালি একেবারেই ধ্বংস করা হবে। সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য কীভাবে সব একসঙ্গে পরিষ্কার করা যায় সেটি আমরা দেখছি। বর্জ্যের কারণে মৃত্যুপ্রায় খালগুলোর পুনরুদ্ধারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন বর্জ্য সংগ্রহ করে, এটা তাদের দায়বদ্ধতা। অনেক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকে। যেখান থেকেই আমরা বর্জ্য নেই না কেন তা ধ্বংস করতে হবে। সেক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। পুড়িয়ে ফেললে পরিবেশ দূষণ হবে। সেজন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন ঠিকভাবে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন পোড়াতে পারলে তা দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব। সেই বিদুৎ আমরা কিনে নিতে পারবো। এজন্য বিভিন্ন কোম্পানির কাছে টেন্ডার আহ্বান করেছি। তারা বর্জ্য থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, সেটা আমাদের কাছে বিক্রি করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।