Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবারের মতো মাফ করা হবে

শাজাহান খান বললেন ধর্মঘট-অবরোধ ডাকিনি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

গাড়িচালকরা ট্যাক্স-টোকেনের জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন জমা দিলে এবারের মতো মাফ করা হবে। আইনের সব কিছু প্রয়োগ হয়ে গেছে, শুধু দুই থেকে তিন জায়গায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। আইন স্থগিত করা হয়নি, কোনো কিছু স্থগিত করা হয়নি, সবই চলবে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি আরো বলেন, আইন বাস্তবায়নে নতুন করে চার সচিবের নেতৃত্বে চারটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। তারা আগামী দুই মাসের মধ্যে সুপারিশ ও অ্যাকশন প্ল্যানসহ প্রতিবেদন জমা দেবেন। পরে টাস্কফোর্স কমিটির সভায় আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্র্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন কিন্তু ইমপ্লিমেন্ট হয়ে গেছে। কয়েকটি বিষয়ে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। যেমন- আমরা বিআরটিএ লাইসেন্স নবায়ন করতে পারিনি, এর জন্য অ্যাকশন প্ল্যান শুরু করেছি। লাইসেন্স না দিলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। কয়েকটি জায়গায় ৩০ জুনের মধ্যে সেরে নিতে হবে। পরিবহন মালিকদের বিভিন্ন যানবাহনের আকার নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে সেটিও সমাধান করা হবে। তারা ডিফল্ডার হয়ে গিয়েছিল, ট্যাক্স-টোকেনের বিষয়ে আবেদন জমা দিলে আশা করি জরিমানা এবারের মতো মাফ করা হবে।

সড়ক পরিবহন আইনের কিছু স্থানে গাড়ি চালকরা পরিবর্তন চেয়েছেন সেখানে কি করতে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চালকরা বলছেন নতুন আইনের জরিমানা দেওয়া সম্ভব না, আইনে মৃত্যুদন্ডের কথা লেখা নেই। অপরাধ করলে কত বছর সাজা হবে এবং জরিমানা হতে পারে সর্বোচ্চ তা লেখা আছে। তা কমার কোনো প্রশ্ন আসে না, সর্বোচ্চ লিমিট বিচারক ব্যবস্থা নেবেন, আমরা সিলিং দিয়েছি সর্বোচ্চ, তিনি ইচ্ছা করলে কোন জায়গায় যেতে পারেন সেটা তার এখতিয়ার। জামিন অযোগ্যর বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এটিবৃহৎ আকারে আলোচনা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টাস্কফোর্স কমিটির কাজটি ছিল পরিবহনখাতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা ও এখানে যে অসুবিধা ছিল যেগুলোর একটি বাস্তবমুখী সমাধান করা এবং সব দুর্ঘটনা নিয়ে একটি পরিকল্পনা করা। আজ সেই কমিটির প্রথম সভা হলো। সভায় সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানের করা ১১১ সুপারিশমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সুপারিশ বাস্তবায়নে চারটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। যার নেতৃত্ব দেবেন চারজন সচিব। তারা চিহ্নিত করবেন কোন স্থানে আমাদের দুর্বলতা আছে। এজন্য কোন স্থানে আমাদের কীভাবে কাজ করতে হবে সেই পরিকল্পনা তারা দেবেন।
সুপারিশ বাস্তবায়নে বেশি সময় নিয়ে ফেলা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে বেশিদিন না, ১৬ অক্টোবর গেজেট হয়েছে। এখানে টাস্কফোর্সে কোনো সময় নষ্ট হয়নি। বিআরটিএ দুর্বলতা কাটাতে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, রাস্তাঘাট সংস্কার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। জনসচেতনার জন্য তথ্য সচিব কাজ করবেন। স্থানীয় সরকারের অধীনে যে সড়ক রয়েছে তা স্থানীয় সরকার সচিব দেখবেন।

সভায় সড়ক পরিবহন আইনে সংশোধন চেয়ে দেশজুড়ে চলা পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির মধ্যে শ্রমিক নেতা ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোনো আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়নি। এমনকি সড়ক পরিবহন আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে তাতেও তাদের কোনো আপত্তি নেই।

শাজাহান খান বলেন, গণমাধ্যম বলছে এখনো যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। প্রথম বাস্তবতা হলো, লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ঘাটতি রয়েছে। তারা লাইসেন্স দিতে পারছে না। এখন যে ভুয়া লাইসেন্স ড্রাইভারদের কাছে আছে, সেই লাইসেন্স নিয়ে যদি গাড়ি চালায় তাহলে তাদের জরিমানা হবে। এ কারণে একজন ড্রাইভার স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাতে পারছে না। অনেক গাড়ির ফিটনেস না থাকায় সেই গাড়িগুলো চালাতে পারছে না। এ কারণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম, এটা বাস্তবতা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ